স্বর্ণে বিনিয়োগ সবসময়ই লাভজনক। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং চড়া মূল্যস্ফীতির সময়। তবে প্রথমবার এতে অর্থ খাটাতে অনেকে ভয় পান। কারণ, লোকসানের ব্যাপক আশঙ্কা থাকে। কেননা, স্বর্ণ খাঁটি না হলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
ফলে স্বর্ণ ব্যবসার শুরুতে বেশ সতর্ক থাকতে হয় ব্যবসায়ীদের। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোটা দাগে ৬ উপায়ে এই আতঙ্ক থেকে মুক্ত থাকতে পারেন তারা। সেগুলো হলো-
১. সশরীরে স্বর্ণ কেনা
সবচেয়ে সহজ ও উত্তম উপায় হলো সশরীরে স্বর্ণের কয়েন বা বার কেনা।এক্ষেত্রে সুপরিচিত ডিলার থেকে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটি ক্রয় করা যায়। এছাড়া অনলাইন বা অফলাইন থেকে সেটা কেনা যায়। এতে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ, দেখেশুনে কেনা হয়।
২. ইটিএফে বিনিয়োগ
শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই গোল্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগ করা যায়। এটি মূলত স্বর্ণ বিনিময় ব্যবসা তহবিল। এসব ফান্ড স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন করে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ারে নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ থাকে। অর্থাৎ সহজেই সেই স্বর্ণের মালিক হওয়া যায়।
৩. আইআরএতে বিনিয়োগ
স্বর্ণের স্বতন্ত্র অবসর অ্যাকাউন্টে (আইআরএ) সহজে বিনিয়োগ করা যায়। অবসরকালীন সঞ্চয়ের জন্য ট্যাক্স সুবিধা প্রদান করে এটি। এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির মালিক হওয়া যায়।
৪. শেয়ারবাজার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড
স্বর্ণ খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ার কেনা যায়। সেই সঙ্গে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যায়। এভাবেও সহজে স্বর্ণের স্বত্বাধিকারী হওয়া যায়। এতে ঠকার সম্ভাবনা কম থাকে।
৫. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম
কিছু বিখ্যাত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে স্বর্ণ কেনা ও বিক্রি করা যায়। ভার্চুয়ালি সেটি লেনদেন করা যায়। কারেন্সির চাহিদাও তা পূরণ করে। সর্বোপরি প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৬. সেভিংস অ্যাকাউন্ট
অনেক ব্যাংকে গোল্ড সেভিং অ্যাকাউন্টস রয়েছে। এক্ষেত্রে সেই অ্যাকাউন্টে টাকা রাখতে হয়। বিনিময়ে স্বর্ণ পাওয়া যায়। তাতে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন