মনসুর খান এরও প্রথম পরিচালনা ছিল এটি। সে সময় বক্স অফিসে টানা ৫০ সপ্তাহ চলেছিলো সিনেমাটি। এই সিনেমার গান ‘অ্যায় মেরে হামসাফর’অত্যাধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। আজও এই গানের আবেদন ফুরায়নি।
রাজকুমার রাও-এর আপকামিং সিনেমা শ্রীকান্তের গান ‘পাপা কেহতে হ্যায়’-এর লঞ্চ ইভেন্টে ওই গান ও সিনেমা নিয়ে নানা কথা বলেন আমির খান।
আমির খান বলেন, আমি আর মনসুর সিনেমাটির খুঁত খুঁজে খুঁজে বের করতাম। এবং আলোচনায় মেতে উঠতাম। তবে সফল হবো না সে ব্যাপারে শুরুতেই কোনো ধারণাই ছিল না। কিন্তু ছবি মুক্তির পর দর্শকের ভালোবাসা পেয়ে আমরা অভিভূত হয়ে যাই। আমার বিশ্বাস, এই সিনেমাটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস বদলে দিয়েছিল। কারণ, ১৯৮৮ সাল থেকেই বদলটা শুরু হয়েছিল এবং মনসুর প্রথম সেটা করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ সিনেমাটির রিমেক হয়েছিল ১৯৯৩ সালে অমর নায়ক সালমান শাহ ও মৌসুমীকে নিয়ে যেটিও ব্লকবাস্টার হয় এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। সালমান শাহ মৌসুমীর আলাদা ক্রেজ তৈরি হয়। ভারতে যেমন হিন্দি সিনেমায় নতুন জোয়ার আনে তেমনি বাংলাদেশেও সিনেমার নতুন ধারার সূচনা হয়েছিল।
তেলেগু ভাষাতে রিমেক হয়েছিল সিনেমাটি। যেটিতে অভিনয় করেন চিরঞ্জীবির ভাই।
আমির খান ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ সিনেমার সংগীত পরিচালক আনন্দ-মিলিন্দ, অভিনেত্রী জুহি চাওলা, কণ্ঠশিল্পী উদিত নারায়ণ ও অলোকা ইয়াগনিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন