অধিনায়কত্বের দিক থেকে তিনি বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক, ৬ আসরের ৪টিতেই জিতেছেন শিরোপা। বোলিংয়ের দিক থেকে তিনি উইকেটসংখ্যায় দ্বিতীয় সেরা বোলার, নিয়েছেন ৭৩ উইকেট। তবে নেতৃত্বে, বোলিংয়ে এমন সফল হলেও বিপিএলের সপ্তম আসরে দল পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। প্রতিটি দল তাকে দলে ভেড়ানোর একাধিক সুযোগ পেলেও শেষ পর্যন্ত অষ্টম ডাকে নিয়েছে ঢাকা প্লাটুন। ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরেও অনেক পরে দল পেয়েছিলেন মাশরাফি।
রোববার ঢাকার হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত প্লেয়ার ড্রাফট ছিল বিপিএলের আগের আসরগুলোর চেয়ে ভিন্নতর। শেষ ৬ আসরই ছিল ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক, দলগুলোর মালিকানা ছিল ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। এবার বিসিবি আয়োজন করছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল, যার সবগুলো দলই ক্রিকেট বোর্ডের। বিসিবির নিয়োগ করা ডিরেক্টররা ছিলেন খেলোয়াড় বাছাই করে নেওয়ার টেবিলে।
এছাড়া পাঁচটি দলের স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও ছিলেন। ঢাকা প্লাটুনের সঙ্গে ছিলেন বিসিবি থেকে নিযুক্ত কোচ কাজী সালাউদ্দিন ও স্পন্সর যমুনা ব্যাংক, খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও স্পন্সর প্রিমিয়ার ব্যাংক, রাজশাহী রয়্যালসের সঙ্গে কোচ ওয়াইজ শাহ, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জোর্সের সঙ্গে বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস ও স্পন্সর আখতার ফার্নিচার্স, সিলেট থান্ডারের সঙ্গে কোচ সারোয়ার ইমরান ও স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
স্পন্সর পাওয়া যায়নি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও রংপুর রেঞ্জার্সের। এ দুটি দলের সঙ্গে বিসিবি দিয়েছে জাতীয় দলের নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনকে। কুমিল্লায় নান্নুর সঙ্গে নাইমুর রহমান দুর্জয় আর রংপুরে সুমনের সঙ্গে আকরাম খান যুক্ত হয়েছেন। এ দুটি দলে বিদেশী কোচও নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। কুমিল্লায় সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ ওটিস গিবসন আর রংপুরে পাকিস্তানের সাবেক ব্যটিং কোচ গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। এরা সবাই ড্রাফট থেকে খেলোয়াড় বেছে নিয়েছেন। দল পাননি আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিজসহ অনেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন