ম্যাকগাইভার একটি অতি জনপ্রিয় মার্কিন টিভি সিরিজ যা ২৯শে সেপ্টেম্বর, ১৯৮৫ থেকে ২১শে মে, ১৯৯২ পর্যন্ত এবিসি-তে প্রচারিত হয়। সিরিজটির নায়ক অ্যাঙ্গাস 'ম্যাক' ম্যাকগাইভার অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও নানা কৌশলে পারদর্শী একজন প্রাক্তন সিক্রেট এজেন্ট।
ম্যাকগাইভারের ভূমিকায় অভিনয় করেন রিচার্ড ডিন অ্যান্ডারসন। ম্যাকগাইভারের প্রতিটি এপিসোডের আলাদা নাম ও আলাদা গল্প থাকত। প্রত্যেকটা পর্বে একেক বান্ধবীও থাকতো। ম্যাকগাইভারের অধিকাংশ কৌশল থাকতো বিজ্ঞানের বিভিন্ন সূত্রের ভিত্তিতে, কখনও রসায়নের, কখনও পদার্থবিদ্যার। মার্কিন টেলিভিশনের পাশাপাশি আরো বিভিন্ন দেশে এই টিভি সিরিজ জনপ্রিয়তা পায়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশেও এই সিরিজ মূল ইংরেজি ভাষাতেই তুমুল জনপ্রিয় ছিল। ম্যাক গাইভার কী পরিমাণ জনপ্রিয় ছিল তা হয়তো এ প্রজন্মকে বলএ বোঝানো যাবে না। তবে তখনকার বাংলা গানেও ম্যাকগাইভার এসেছিলেন। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর বোন পলি সায়ন্তনীর একটা অ্যালবাম খুব বাজার পেয়েছিল। সেই অ্যালবামে একটা গানের নায়ক ছিলেন মাসুদ রানা, আরেকটার নায়ক ম্যাকগাইভার।
মাসুদ রানাকে প্রথম গানটার প্রথম লাইন ছিল এমন — 'তুমি দাও-না আমার স্বপ্নে দেখা, মাসুদ রানা! / পাশে এসে ভালোবেসে বলো, হ্যালো সোহানা!' অন্যদিকে ম্যাকগাইভার নিয়া গানটার মুখ ছিল ‘হ্যালো ম্যাকগাইভার’ সম্বোধন জুড়ে দিয়ে গাওয়া।
ম্যাক গাইভারের ছবি আঁকা খাতা আর ভিউ কার্ড স্টিকারে বাজারময় ছড়িয়ে থাকতো। কী পরিমাণ উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল এদেশে তা কল্পনাতীত। ম্যাকগাইভার তাঁর ক্যারিয়ার গড়েছেন অভিনয়শিল্পী হিসেবেই, নানান সিরিয়ালে এবং সিনেমায় অভিনয় করেছেন, কিন্তু দুনিয়াজোড়া খ্যাতিটা তার ম্যাকগাইভার সিরিজের জন্যই।
ম্যাক গাইভারের নেপথ্যের মানুষটির প্রকৃত নাম রিচার্ড ডিন অ্যান্ডারসন মিনিয়াপোলিস, মিনেসোটাতে ১৯৫০ সালের ১লা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন স্টুয়ার্ট অ্যান্ডারসন এবং জুকেলিন কার্টার-এর চার সন্তানের মধ্যে সবার বড়। তিনি মিনেসোটার রোজভ্যালি বড় হন এবং সেখানকার আলেক্সজান্ডার র্যামসি হাই স্কুলে লেখাপড়া করেন। তিনি ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন যে, তিনি একজন পেশাদার হকি খেলোয়াড় হবেন কিন্তু তার হাতের বাহু ভেঙ্গে যাবার পর তার এ স্বপ্নটি নষ্ট হয়ে যায়।
রিচার্ড ১৯৭৬ সালে একজন অভিনেতা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ম্যাকগাইভার নামক টিভি সিরিয়ালে ম্যাকগাইভার চরিত্রে (একজন সিক্রেট এজেন্ট) অভিনয় করে তিনি দেশ-বিদেশে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন।
রিচার্ড ডিন অ্যান্ডারসন বাংলাদেশে আসতেও চেয়েছেন। ২০১৭ সালে অস্টেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশের এক ভক্তকে এমন ইচ্ছার কথা জানান তিনি। ভক্তের নাম শিপলু রহমান খান। শিপলু বলেন, আমি ম্যাকগাইভারের অনেক বড় ভক্ত। ছোটবেলায় ম্যাকগাইভার চরিত্রে অভিনয় করা রিচার্ড ডিন অ্যান্ডারসনের সঙ্গে চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে অটোগ্রাফসহ ছবিও পাঠান।
ম্যাকগাইভারকে দেখতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ম্যাকগাইভার একটা ইভেন্টে অংশ নিতে অস্ট্রেলিয়া আসবেন জেনে আমিও বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যাই। তিনি আমাকে ২০ মিনিট সময় দেবেন বলে জানান। দেখা হওয়ার পর আমি বাংলাদেশে তাকে নিয়ে কী ধরণের উন্মাদনা হয় সেটা বলি। তাকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন আর্টিক্যালের পেপার কাটিং দেখাই। আমাদের কথা হয় দেড় ঘণ্টা। বাংলাদেশে তার ভক্ত আছে এটা তিনি জানেন। কিন্তু তাকে নিয়ে এত উ bন্মাদনা হয় এটা তার ভাবনাতীত। সব শুনে তিনি বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন।
ম্যাকগাইভার বিয়ে করেননি। তার আয়ের সবটাই ব্যয় করেন পথশিশুদের জন্য। গৃহহীনদের জন্য কাজ করে এমন চ্যারিটি সংস্থার সাথে যুক্ত রিচার্ড ডিন অ্যান্ডারসন।
ম্যাকগাইভারের ভূমিকায় অভিনয় করেন রিচার্ড ডিন অ্যান্ডারসন। ম্যাকগাইভারের প্রতিটি এপিসোডের আলাদা নাম ও আলাদা গল্প থাকত। প্রত্যেকটা পর্বে একেক বান্ধবীও থাকতো। ম্যাকগাইভারের অধিকাংশ কৌশল থাকতো বিজ্ঞানের বিভিন্ন সূত্রের ভিত্তিতে, কখনও রসায়নের, কখনও পদার্থবিদ্যার। মার্কিন টেলিভিশনের পাশাপাশি আরো বিভিন্ন দেশে এই টিভি সিরিজ জনপ্রিয়তা পায়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশেও এই সিরিজ মূল ইংরেজি ভাষাতেই তুমুল জনপ্রিয় ছিল। ম্যাক গাইভার কী পরিমাণ জনপ্রিয় ছিল তা হয়তো এ প্রজন্মকে বলএ বোঝানো যাবে না। তবে তখনকার বাংলা গানেও ম্যাকগাইভার এসেছিলেন। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর বোন পলি সায়ন্তনীর একটা অ্যালবাম খুব বাজার পেয়েছিল। সেই অ্যালবামে একটা গানের নায়ক ছিলেন মাসুদ রানা, আরেকটার নায়ক ম্যাকগাইভার।
মাসুদ রানাকে প্রথম গানটার প্রথম লাইন ছিল এমন — 'তুমি দাও-না আমার স্বপ্নে দেখা, মাসুদ রানা! / পাশে এসে ভালোবেসে বলো, হ্যালো সোহানা!' অন্যদিকে ম্যাকগাইভার নিয়া গানটার মুখ ছিল ‘হ্যালো ম্যাকগাইভার’ সম্বোধন জুড়ে দিয়ে গাওয়া।
ম্যাক গাইভারের ছবি আঁকা খাতা আর ভিউ কার্ড স্টিকারে বাজারময় ছড়িয়ে থাকতো। কী পরিমাণ উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল এদেশে তা কল্পনাতীত। ম্যাকগাইভার তাঁর ক্যারিয়ার গড়েছেন অভিনয়শিল্পী হিসেবেই, নানান সিরিয়ালে এবং সিনেমায় অভিনয় করেছেন, কিন্তু দুনিয়াজোড়া খ্যাতিটা তার ম্যাকগাইভার সিরিজের জন্যই।
ম্যাক গাইভারের নেপথ্যের মানুষটির প্রকৃত নাম রিচার্ড ডিন অ্যান্ডারসন মিনিয়াপোলিস, মিনেসোটাতে ১৯৫০ সালের ১লা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন স্টুয়ার্ট অ্যান্ডারসন এবং জুকেলিন কার্টার-এর চার সন্তানের মধ্যে সবার বড়। তিনি মিনেসোটার রোজভ্যালি বড় হন এবং সেখানকার আলেক্সজান্ডার র্যামসি হাই স্কুলে লেখাপড়া করেন। তিনি ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন যে, তিনি একজন পেশাদার হকি খেলোয়াড় হবেন কিন্তু তার হাতের বাহু ভেঙ্গে যাবার পর তার এ স্বপ্নটি নষ্ট হয়ে যায়।
রিচার্ড ১৯৭৬ সালে একজন অভিনেতা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ম্যাকগাইভার নামক টিভি সিরিয়ালে ম্যাকগাইভার চরিত্রে (একজন সিক্রেট এজেন্ট) অভিনয় করে তিনি দেশ-বিদেশে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন।
রিচার্ড ডিন অ্যান্ডারসন বাংলাদেশে আসতেও চেয়েছেন। ২০১৭ সালে অস্টেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশের এক ভক্তকে এমন ইচ্ছার কথা জানান তিনি। ভক্তের নাম শিপলু রহমান খান। শিপলু বলেন, আমি ম্যাকগাইভারের অনেক বড় ভক্ত। ছোটবেলায় ম্যাকগাইভার চরিত্রে অভিনয় করা রিচার্ড ডিন অ্যান্ডারসনের সঙ্গে চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে অটোগ্রাফসহ ছবিও পাঠান।
ম্যাকগাইভারকে দেখতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ম্যাকগাইভার একটা ইভেন্টে অংশ নিতে অস্ট্রেলিয়া আসবেন জেনে আমিও বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যাই। তিনি আমাকে ২০ মিনিট সময় দেবেন বলে জানান। দেখা হওয়ার পর আমি বাংলাদেশে তাকে নিয়ে কী ধরণের উন্মাদনা হয় সেটা বলি। তাকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন আর্টিক্যালের পেপার কাটিং দেখাই। আমাদের কথা হয় দেড় ঘণ্টা। বাংলাদেশে তার ভক্ত আছে এটা তিনি জানেন। কিন্তু তাকে নিয়ে এত উ bন্মাদনা হয় এটা তার ভাবনাতীত। সব শুনে তিনি বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন।
ম্যাকগাইভার বিয়ে করেননি। তার আয়ের সবটাই ব্যয় করেন পথশিশুদের জন্য। গৃহহীনদের জন্য কাজ করে এমন চ্যারিটি সংস্থার সাথে যুক্ত রিচার্ড ডিন অ্যান্ডারসন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন