বিপিও সামিটে নেবে ৮০০ জন - Slogaan BD

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

বিপিও সামিটে নেবে ৮০০ জন

২১ ও ২২ এপ্রিল চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯’দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতে মান উন্নয়ন ও সম্ভাবনা তুলে ধরতে । এই সামিটে এই খাতে নেওয়া হবে ৮০০ তরুণকে।

এ খাতে যাঁরা কাজ পাবেন, তাঁদের কল সেন্টারে কাজসহ বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন ডেটা (উপাত্ত) প্রসেস করা, বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করা, মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশনের (চিকিৎসকের হাতে লেখা ব্যবস্থাপত্র পড়ে সেটা থেকে ডেটাবেইস তৈরি করা) মতো কাজ করতে হবে। এ ধরনের কাজকে একত্রে বলা হয় বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও।

বিপিও সামিটে জনবল নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) মহাসচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, আগের কয়েক বছরে এই সামিট থেকে বেশ কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও ৮০০ জনকে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সামিট চলাকালে জনবল নেওয়ার জন্য আলাদা একটি জোন থাকবে। সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছোট ছোট বুথ থাকবে। সেখানে একসঙ্গে ২০ জনের সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা থাকবে। সাক্ষাৎকারে সন্তুষ্ট হলে প্রতিষ্ঠানগুলো সেখানেই নিয়োগপত্র দেবেন।

সব শ্রেণির মানুষের চাকরির সুযোগ রয়েছে বিপিও সেক্টরে। আমরা এ সামিটে তা তুলে ধরার চেষ্টা করব।’ তিনি বলেন, ‘বিপিও সেক্টরে দেশের যেকোনো জায়গায় বসে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিপিও সামিটে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষ তরুণদের এনে চাকরির দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানির অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। আগে আমরা প্রযুক্তিপণ্য আমদানিকারক দেশ ছিলাম, বর্তমানে আমরা উৎপাদন ও রপ্তানি করছি।’

বাক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিপিও সামিট বাংলাদেশ-২০১৯ আয়োজন সফল করার জন্য দেশব্যাপী পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হবে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইন চলাকালেও প্রচারণার মাধ্যমে সিভি সংগ্রহ করা হবে।

এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোর্সিং খাতে আরও কীভাবে ভালো করা যায়, সে বিষয় বিশ্বকে জানানো হবে। সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে বিপিও খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হবে। বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য। বিপিও খাতে ২০২১ সালের মধ্যে ১ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন আয়োজকেরা।

সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ’-এর আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) আয়োজনে এই সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সামিটে যেতে নিবন্ধন করতে হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে: https://bposummit.org.bd/

credit: prothomalo

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Post Top Ad

{SCOpenGraph image=http://site.com/link-to-homepage-image.jpg}