১১৫ বছর বয়সেও অন্ধ মুয়াজ্জিন মসজিদে যাচ্ছেন প্রতিদিন - Slogaan BD

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

১১৫ বছর বয়সেও অন্ধ মুয়াজ্জিন মসজিদে যাচ্ছেন প্রতিদিন

nator, 115 years old muajjin

 আব্দুর রহমান মোল্লার বয়স ১১৫ বছর। বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের বড়দেহা গ্রামে। প্রায় ২০ বছর আগে এক দুর্ঘটনায় দৃষ্টিশক্তি হারান আব্দুর রহমান মোল্লা। এর ৬ বছর পর বড় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে পবিত্র হজ পালন করেন। দেশে ফিরে নিজ গ্রামে ৫ শতাংশ জমির ওপর তৈরি করেন একটি পাকা মসজিদ। মসজিদের নামেই তিনি জমিটি রেজিস্ট্রি করে দেন। এরপর নিজেই সেই মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। কিন্তু জটিলতা দেখা দেয় মসজিদে আসা-যাওয়া নিয়ে। সেই প্রতিবন্ধকতাও জয় করে ফেলেছেন শতবর্ষী এই বৃদ্ধ। 


এজন্য বাড়ি থেকে মসজিদ পর্যন্ত টেনে নিয়েছেন দড়ি ও বাঁশ। এরপর দড়ি আর বাঁশের সাহায্যে নিয়মিত মসজিদে যাচ্ছেন, আজান দিচ্ছেন, ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছেন। এরপর দড়ি আর বাঁশের সাহায্যে নিয়মিত মসজিদে যাচ্ছেন।


আব্দুর রহমান মোল্লার ছেলে স্কুল শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম সাইফুল জানান, হজ পালন করে আসার পর তার বাবা যে মসজিদটি স্থাপন করেছেন সেখানে ৫ ওয়াক্ত নামাজের আজান দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু বাড়ি থেকে মসজিদের দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটার। তখনই জটিলতা দেখা দেয় আসা-যাওয়া নিয়ে। সেই জটিলতাও নিরসনের পথ বাতলে নেন আব্দুর রহমান মোল্লা নিজেই। বাড়ি থেকে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় দড়ি ও বাঁশ টাঙিয়ে দিতে বলেন।


বাবার দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী দড়ি ও বাঁশ টাঙিয়ে দেন ছেলেরা। এরপর প্রথম দিকে কয়েকদিন তার ছেলে ও নাতিরা দড়ি ও বাঁশের সাহায্যে মসজিদ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে তাকে যাতায়াত ও রাস্তা পার হতে অভ্যস্ত করে তোলেন। এছাড়া বাঁশ ও দড়ি খুঁজে পেতে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি লাঠিও। এভাবে কয়েকদিন দেখিয়ে দেওয়ার পর আর কারও সাহায্য নিতে হয়নি শতবর্ষী এই বৃদ্ধকে। এরপর থেকে তিনি নিজেই দড়ি ও বাঁশের সাহায্যে বাড়ি থেকে মসজিদে যাচ্ছেন।

আব্দুর রহমান মোল্লা জানান, এই বয়সেও আল্লাহ তাকে অনেকটা সুস্থ রেখেছেন। রাস্তা পারাপারের সময় ঝুঁকি থাকলেও তিনি বিশ্বাস করেন আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে হেফাজত করে গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন।


আব্দুর রহমান মোল্লা জানান, এই বয়সেও আল্লাহ তাকে অনেকটা সুস্থ রেখেছেন। রাস্তা পারাপারের সময় ঝুঁকি থাকলেও তিনি বিশ্বাস করেন আল্লাহ তাকে সকল বিপদ থেকে হেফাজত করে গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন। একইসঙ্গে তিনি সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানকে নিয়মিত নামাজ আদায়েরও আহ্বান জানান।


রাজশাহী নাজাত হাফিজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা মো. আব্দুল মজিদ বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম রাসূলের (সা.) জন্য আজান দিতেন। তিনিও অন্ধ ছিলেন। আব্দুর রহমান মোল্লা এই বয়সেও ইসলামের খেদমতে কাজ করছেন। তিনি অনেকের জন্যই অনুপ্রেরণা হতে পারেন। এখনও যারা নিয়মিত নামাজ আদায় করেন না, তারাও তাকে দেখে আগ্রহী হবেন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Post Top Ad

{SCOpenGraph image=http://site.com/link-to-homepage-image.jpg}