৭ থেকে ২২ বছর বয়সী বাচ্চারা জেনারেশন জেড। এরা যে সময়টাতে জন্মগ্রহণ করেছে সে সময়টাতে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে গেছে ইন্টারনেট ব্যবহার। ছোট দু বছরের বাচ্চারাই এখন পড়া লেখা শেখার আগেই ফোন ব্যবহার শিখছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে করছে। জেনারেশন জেডের মন-মানসিকতা উদার, বিভিন্ন ধর্ম বা সামাজিক বিষয় নিয়ে তারা বেশি মাথা ঘামায় না, তারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের সাথে যুক্ত, তারা পরিবেশ সচেতন। জেনারেশন জেড ফেসবুক এবং ই-মেইল বেশি ব্যবহার করে না। তারা ইন্সটাগ্রাম এবং ইউটিউব ব্যবহারে অভ্যস্ত। তারা টিভিতে পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন দেখে অভ্যস্ত না। জেনারেশন জেড প্রজন্মের ক্রেতারা অনলাইনে কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।যাইহোক এই দলটিকে অনেক সময় ইন্টারনেট প্রজন্ম বলা হয়, কারণ এটি ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তার পরে প্রথম প্রজন্মের জন্ম হয়েছিল।
অত্যন্ত আশাবাদী এই ছেলেমেয়েরা তাদের আগের প্রজন্মের থেকে নিজেদের অনেক এগিয়ে কল্পনা করতে ভালোবাসে। তারা ক্রিয়েশনকে বেশি প্রাধান্য দেয়। নতুন ও পুরাতনের সমন্বয়ে ছিলো ‘এক্স’ কিংবা ‘ওয়াই’রা। বুদ্ধদেব বসু, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, অমিয় চক্রবর্তী, জীবনানন্দ দাশসহ কল্লোল আন্দোলনের সাহিত্যিকেরা যেমন চেয়েছিলেন রবীন্দ্রবলয় ভেঙে নতুন ধারার সাহিত্যচর্চা করতে, তেমনি এখনকার যুগের ছেলেমেয়েদের ভেতরেও রয়েছে সম্পূর্ণ নতুন কিছু সৃষ্টির চিন্তা। অবশ্য এ ক্ষেত্রে রয়েছে ইতিবাচকতা বা নেতিবাচকতার প্রশ্ন। তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় রুচিবোধ ও অভ্যাসেরও পরিবর্তন এসেছে।
এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের একটা বড় অংশই রেস্টুরেন্টপ্রেমী। আগে বাইরের খাবার বলতে ছিল ট্র্যাডিশনাল খাবারসহ বেশির ভাগই দেশি খাবার। সর্বোচ্চ গেলে চায়নিজ কিংবা থাই মেনু। এর বাইরে অন্য কিছু থাকলেও তা খুব বেশি উল্লেখ করার মতো ছিলো না। অন্যদিকে বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইন্ডিয়ান, জাপানিজ, ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান, টার্কিশ কিংবা আমেরিকান রেসিপি। বর্তমানের প্রতিটি রেস্টুরেন্টে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ইজ এক্সসেলেট! ফলে পরিবেশগত কারণ বা নতুন খাবার টেস্ট অথবা সময় কাটানোর একটা জায়গা; যেকোনো শর্তেই ‘রেস্টুরেন্ট’ অন্য সব অপশন থেকে এগিয়ে। এই প্রজন্মের হাত ধরেই ‘ফাস্ট ফুড’ কালচারের ঢালাও প্রচলন হয়। রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি ফুডকোর্ট কিংবা মিনি ফুডকোর্টের সংখ্যা এখন অনেক।
আর্ট অ্যান্ড কালচারেও একটা বড় পরিবর্তন এসেছে। একটা সময় ছিল, যখন নিজেদেরকে নিজেদের প্রেক্ষাপটেই তৈরি করে নিতে হতো। নিজস্ব সীমানার বাইরে চিন্তা করাটা অসম্ভব না হলেও বেশ কষ্টকর ছিল। তখন এক ক্লিকেই বিশ্ব ঘুরে আসাটাও প্রায় অসম্ভব ছিলো। ওয়ার্ল্ড মিউজিক, থিয়েটার, মুভি ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করা সম্ভব হয়নি; কারণ, সুযোগ ছিল না তেমন। ‘ওয়াই’ দের পক্ষে এই সুযোগটা কিছুটা থাকলেও ‘জেড’ প্রজন্ম পাচ্ছে প্রায় সবই। ফলে, বাংলাদেশি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি এখন অন্যদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মত পর্যায়েই উঠে এসেছে প্রায়।
সিনেমা দেখার রুচিবোধ পাল্টেছে। শুধুমাত্র হলিউড কিংবা বলিউডই নয়; পাশাপাশি কোরিয়ান, জাপানিজ, চায়নিজ, ইন্দোনেশিয়ান, মালয়ালামসহ আরও অন্যান্য ধারার সিনেমার দর্শক তৈরি হয়েছে তরুণদের মধ্যে। এ ছাড়া বর্তমান সময়ের বাংলা সিনেমা কিংবা আর্টফিল্মও তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
পার্থক্য:
- প্রযুক্তির ব্যবহার: জেনারেশন জেড তাদের জীবনের প্রথম দিন থেকেই প্রযুক্তির সাথে পরিচিত, যখন মিলেনিয়ালস তাদের ছোটবেলায় প্রযুক্তির উত্থান দেখেছে। এর ফলে জেনারেশন জেড প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও দক্ষ এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাথে আরও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
- কর্মজীবনের ধারণা: মিলেনিয়ালস স্থিতিশীলতা এবং ক্যারিয়ারের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়। জেনারেশন জেড কাজ-জীবনের ভারসাম্য, নমনীয়তা এবং উদ্দেশ্যপূর্ণ কাজের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়।
- সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি: মিলেনিয়ালস পরিবেশবাদ, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং বৈশ্বিক সমস্যার বিষয়ে আরও উদ্বিগ্ন। জেনারেশন জেড আরও ব্যক্তিগত ও স্ব-কেন্দ্রিক হতে পারে।
সমস্যা:
- যোগাযোগের অভাব: প্রযুক্তির উপর নির্ভরতার কারণে, মিলেনিয়ালস এবং জেনারেশন জেড এর মধ্যে মুখোমুখি যোগাযোগ এবং সামাজিক দক্ষতার অভাব দেখা দেয়।
- অনুমান ও ভুল বোঝাবুঝি: প্রজন্মের মধ্যে পার্থক্যের কারণে, একে অপরের মূল্যবোধ, অভিজ্ঞতা এবং আচরণ ভুল ব্যাখ্যা করার প্রবণতা দেখা যায়।
- কর্মক্ষেত্রে সংঘাত: কর্মক্ষেত্রে, মিলেনিয়ালস এবং জেনারেশন জেড এর কাজের ধরণ, নেতৃত্বের ধরন এবং কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি নিয়ে মতবিরোধ হয়ে থাকে ।
টেকনোলজি ফ্রিক এই প্রজন্মের প্রতিদিনের অভ্যাসের তালিকায় স্থান পেয়েছে স্মার্ট গ্যাজেটস। কথা বলার জন্য মোবাইল ফোন এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যমই নেই, বরং স্মার্টফোনের স্মার্ট ব্যবহারেও তারা অভ্যস্ত। ফোন ক্যামেরায় শর্টফিল্ম তৈরির ট্রেন্ডও এসেছে। এ ছাড়া গুগল ম্যাপ, ডেইলি নোটপ্যাড, নেভিগেশন কিংবা লাইভ টিভির মতো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যবহার এখন খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবাদপত্র, টিভি, খেলা দেখা, গান শোনাসহ প্রায় সবকিছুই অনলাইনে সেরে ফেলাতে তারা বেশি আগ্রহী।
জেনারেশন জি এর এই পরিবর্তনগুলোর যেমনই রয়েছে নতুন সম্ভাবনার দিক তেমনই কিছু ক্ষতিকর দিক এড়িয়ে যাবার উপায় নেই। প্রথমত, কালচার পরিবর্তনে তাড়াহুড়াজনিত কারণে অনেক ক্ষেত্রেই পাকিয়ে যাচ্ছে জগাখিচুড়ি। আমাদের সংস্কৃতি ঐতিহ্যগত চর্চা বেশ বাধার সম্মুখীন। এখনকার ছেলেমেয়েরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভ্যস্ত হলেও আদতে তাদেরকে বিচ্ছিন্নই বলা যেতে পারে। এখন আড্ডা, হইহুল্লোড় কিংবা মাঠে খেলাধুলাবিমুখ ছেলেমেয়ের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। তারা ভার্চ্যুয়াল জগতে অনেক বেশি সম্পৃক্ত। একই সঙ্গে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়াটাও একটা বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। ভার্চ্যুয়ালি তারা অনেক এগিয়ে গেলেও বাস্তবতায় পিছিয়ে পড়ার কারণে হতাশার শিকার হচ্ছে। মানবিক সম্পর্কের অবনতির পেছনেও এর দায় রয়েছে। প্রয়োজন না থাকলেও প্রায় সারা দিন তারা অনলাইনে ‘অ্যাকটিভ’। যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯ শতাংশ কিশোর-কিশোরী অনলাইনে হয়রানির শিকার। এর ভেতরে রয়েছে অপমানজনক কথাবার্তা, গালিগালাজ, গুজব ছড়ানো, শারীরিক হুমকি প্রদান এবং অপ্রত্যাশিত ও ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ। নেতিবাচক দিকগুলো বাদ দিলে এই প্রজন্মের অর্জনটাও কম নয়। সুতরাং, ‘জেড’ জেনারেশনের গতিশক্তির সঠিক প্রয়োগটা জরুরি।
তাই এই জেড জেনারেশনের সাথে সাথে ওয়াই জেনারেশন বা এক্স জেনারেশনের অভিভাবক বা শিক্ষকদেরকেও আপডেট হতে হবে। এসেছে নতুন শিশু তাই বলে স্থান ছেড়ে দিলেই শুধু চলবে না। সেই স্থানে বসাবার জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলার দায়িত্বটাও কিন্তু আমাদের। বাবা, মা অভিভাবকদের। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো-
5 Tips for Teaching Generation Z - জেন জি এর জন্য পাঁচটি টিপস-
আমাদের এই সন্তানদের জন্য এখন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিই তাদেরকে বুঝতে চেষ্টা করা। এটা টিচার বা অভিভাবকদের জন্য কষ্টকর তখনই যখন তারা এই জেনারেশনের সাথে ঠিকঠাক যোগাযোগ করতে পারেননা। তারা যেভাবে ক্লাসরুমের বাইরের গোটা পৃথিবীর সাথে কমুনিকেট করে ঠিক সেভাবে ক্লাসরুমে তাদেরকে ম্যানেজ করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। আর তাতেই এই বিপত্তি। এই সমস্যার সমাধান সম্ভব যদি না আমরা ক্লাসের বাইরের এবং ভিতরের জগৎটাকে এক না করে ফেলি। টেকনোলজী এটার কারণ তা বলার উপায় নেই, হয়ত যদিওবা টেকনোলজীর কারণই এসব সমস্যার কারণ। হয়ত টেকনোলজীই তাদের চিন্তাভাবনা ও কাজের ধারা বদলে দিয়েছে। প্রজন্ম এক্স বা ওয়াই এর তুলনায় আজকালকার বাচ্চারা ইন্টারেক্টিভ তথ্য, ভিডিও, পাঠ্যকরণ ইত্যাদি ব্যবহার করে। যেহেতু জেনারেশন জেড এর ইনফরমেশন সেন্ডিং এবং রিসিভিং এর পদ্ধতিগুলো ভিন্ন তাই তাদের যোগাযোগের পদ্ধতিগুলি আমাদের বুঝতে হবে। তাদের যোগাযোগ পদ্ধতিগুলি কিভাবে কাজ করে আমাদেরকে জানতে হবে।
1. Short Phrases
আজকালকার বাচ্চাদের কাছে যখন কোনো মেইল বা টেক্সট আসে। তার উত্তরের উপর তাদের নিয়ন্ত্রন থাকে। সুবিধামত সময়ে উত্তর দেবার ও প্রতিক্রিয়া জানাবার সুযোগ থাকে। এটি তাদের উপর কম চাপ ফেলে ও তাদের চিন্তা করতে সহায়তা করে। যেমন
একটি ইউটিউব ভিডিওতেও পজ বাটন আছে যা তাদের সময় ও সুযোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। তবে ক্লাসরুমে এটা কিভাবে করা সম্ভব? সেটি নিয়েই ভাবতে হবে।
2. Use Visuals
জেনারেশন জেডপূর্ণ একটি ক্লাসরুমে ৪৫ সেকেন্ডেরও বেশি সময় মনোযোগ দেওয়ার জন্য জোকস বা মজাদার গল্প সবচেয়ে কার্য্যকরী। স্ক্রিনে এমন কোনো ছবি বা ভিডিও দেখানো যেতে পারে যা কমপক্ষে তিন মিনিটের জন্য থাকবে। এটি নিয়ে প্রশ্ন/উত্তর চালাতে হবে, যতক্ষণ না তাদের মনোযোগ চলে না যায়।
ইদানিংকালে আমরা যা করছি অনলাইন জ্যুম ক্লাস তাতে বড় বাচ্চাদের হয়তো ফাঁকিবাজীর সুযোগ আছে যদি না তারা মন দিতে চায় আর কি তবে আমি খেয়াল করেছি আমার আর্লী সেকশনের বাচ্চারা ঠিকই ৯৯% মনোযোগে পাওয়ার পয়েন্ট বা ভিডিওগুলি ঠিকঠাক দেখে শুনে ও বুঝে আমাকে আনসার করে। এবং তাদের চোখ মুখের ঔজ্জ্বলতা দেখে বুঝাও যায় যে তারা কত বেশি আনন্দ পাচ্ছে।
3. Make it Interactive
শুধুমাত্র পাঠ্যবই বা শিক্ষকের মুখের বাণী ছাড়াও বা পাঠ্যপুস্তকের সহায়তা ছাড়াও বাচ্চারা নিজেরাই ইন্টারনেট ব্রাউজ করে নানা রকম তথ্য উপাত্য সংগ্রহ করে তা পুরো ক্লাসে শেয়ার করতে পারে। এই ধরনের কাজ গুলো তাদেরকে কনফিডেন্ট করে তোলে। অন্যের উপর নির্ভরতা কমাতে শেখায়। যদিও সঠিক গাইডেন্স প্রয়োজন। তবুও নানা তথ্য খুঁজে বের করার চর্চা শেখায়, জ্ঞান চর্চা ও তা শেয়ার করার বিষয়টিও উৎসাহিত করে। এটি মিডল এবং সিনিয়রেও বিশেষ কার্য্যকরী হবে বলে আমি মনে করি।
গুগল ড্রাইভে ইমেজ শেয়ার অথবা Complete collaborative notes with Google apps কিংবা Google Drawing কিংবা Google Forms, Sheets, Google Map এসব ব্যবহারও এই জেনারেশনের জন্য বেশ কার্য্যকরী পদ্ধতি।
4. Be Honest
তাদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। তারা বর্তমান বিশ্বের তথ্য সমাগ্রীতে ভরপুর যা বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্করা হয়ত জানেো না। তারা একেকজন একেক হিডেন তথ্য ভান্ডার। সেদিন আর নেই। শিক্ষকরাই সব জানেন। সত্যি বলতে শিক্ষকরা স্যুপার হিউম্যান না কাজেই নিজের সাথে অনেস্ট হতে হবে। যে কোনো মূল্যে আমাদের বাচ্চাদের শিক্ষাটাকেই প্রাধন্য দিতে হবে। এটি ইগো দেখাবার জায়গা না।
5. Take Criticism Well (Give it, Too)
এটি একটু কঠিন তবুও সেই আগের জেনারেশন আর নেই। কাজেই এমন একটি ক্লাসরুম পরিবেশ তৈরী করতে হবে যেখানে বাচ্চারা নিজেদের মতামত দিতে পারবে। টিচারকে ভুল মনে হলেও তা তারা যেন প্রকাশ করতে পারে। একে অন্যের প্রতি সন্মান বজায় রেখে আলোচনা, তর্ক বা ডিবেট চালাতে পারে। এতে একে অন্যে মাঝে বোঝাপড়া ও জ্ঞান চর্চার পথ ইন্টারেস্টিং ও সহজ হবে। তারা গঠনমূলক মতামতের সাহায্যে জ্ঞানচর্চার পথ প্রসারিত করবে। এখানে জেনারেশন ওয়াই এর একজন টিচার জোর করে তার কর্ত্বত্ববাদ যদি জেনারেশন জেড এর ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চায় তো ভুল হবে।
প্রতিটি পরীক্ষা বা যে কোনো বিষয় পড়াবার শেষে একটি তালিকা বা রিফ্লেকশন ফর্ম দেওয়া যেতে পারে যেখানে ক্লোজ এন্ডেড বা ওপেন এন্ডেড প্রশ্নোত্তরের সাহায্যে শিক্ষার্থী তার বিষয়টি বুঝতে পারা, বা জানার ইচ্ছা বা অক্ষমতা বা কারণ জানাতে পারবে। এটি টিচারের পরবর্তী পদক্ষেপ, ও টিচিং স্টাইলে কি পরিবর্তন বা উন্নয়ন আনা প্রয়োজন তা বুঝতে সাহায্য করবে। একই ভাবে টিচারেরও উচিৎ দৈনন্দিন লেসন প্লানের পাশাপাশি একটি রিফ্লেকশন জার্নাল মেইনটেইন করা।
উপসংহারে:
জেনারেশন জেড বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি আরও ন্যায়সঙ্গত ও সমতাপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য। তাদের প্রচেষ্টা সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে।
- শায়মা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন