আমরা অনেকেই হয়ত Baby boomers, Generation X, Generation Y এসব শুনেছি। যেমন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ এর মধ্যে যাদের জন্ম তাদের বলা হয় বেবি বুমার্স। ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে যাদের জন্ম তাঁরা জেনারেশন এক্স, ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে যারা জন্ম নিয়েছে তারা জেনারেশন ওয়াই বা মিলেনিয়ালস এবং ১৯৯৭ থেকে ২০১২ এর মধ্যে যাদের জন্ম তারা জেনারেশন জেড।
পার্থক্য:
- প্রযুক্তির ব্যবহার: জেনারেশন জেড তাদের জীবনের প্রথম দিন থেকেই প্রযুক্তির সাথে পরিচিত, যখন মিলেনিয়ালস তাদের ছোটবেলায় প্রযুক্তির উত্থান দেখেছে। এর ফলে জেনারেশন জেড প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও দক্ষ এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাথে আরও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
- কর্মজীবনের ধারণা: মিলেনিয়ালস স্থিতিশীলতা এবং ক্যারিয়ারের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়। জেনারেশন জেড কাজ-জীবনের ভারসাম্য, নমনীয়তা এবং উদ্দেশ্যপূর্ণ কাজের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়।
- সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি: মিলেনিয়ালস পরিবেশবাদ, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং বৈশ্বিক সমস্যার বিষয়ে আরও উদ্বিগ্ন। জেনারেশন জেড আরও ব্যক্তিগত ও স্ব-কেন্দ্রিক হতে পারে।
সমস্যা:
- যোগাযোগের অভাব: প্রযুক্তির উপর নির্ভরতার কারণে, মিলেনিয়ালস এবং জেনারেশন জেড এর মধ্যে মুখোমুখি যোগাযোগ এবং সামাজিক দক্ষতার অভাব দেখা দেয়।
- অনুমান ও ভুল বোঝাবুঝি: প্রজন্মের মধ্যে পার্থক্যের কারণে, একে অপরের মূল্যবোধ, অভিজ্ঞতা এবং আচরণ ভুল ব্যাখ্যা করার প্রবণতা দেখা যায়।
- কর্মক্ষেত্রে সংঘাত: কর্মক্ষেত্রে, মিলেনিয়ালস এবং জেনারেশন জেড এর কাজের ধরণ, নেতৃত্বের ধরন এবং কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি নিয়ে মতবিরোধ হয়ে থাকে ।
উপসংহারে:
জেনারেশন জেড বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি আরও ন্যায়সঙ্গত ও সমতাপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য। তাদের প্রচেষ্টা সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে।
- শায়মা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন