দ্রুত বীর্যপাত বা প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন (PE) হলো যৌনতা চলাকালীন সঙ্গীর যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশের পর অল্প সময়ের মধ্যে বীর্যপাত হয়ে যাওয়া।
দ্রুত বীর্যপাতের কারণ:
- মানসিক কারণ: চাপ, উদ্বেগ, হতাশা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, অতীতের যৌন অভিজ্ঞতার নেতিবাচক প্রভাব, পারিবারিক অশান্তি, পারস্পরিক সম্পর্কের সমস্যা ইত্যাদি।
- শারীরিক কারণ: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, থাইরয়েড সমস্যা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যা, স্নায়বিক সমস্যা ইত্যাদি।
- অন্যান্য কারণ: ধূমপান, অ্যালকোহল পান, মাদকদ্রব্য সেবন, দীর্ঘ সময় ধরে যৌনতা থেকে বিরত থাকা, অপর্যাপ্ত ঘুম, অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা ইত্যাদি।
দ্রুত বীর্যপাতের প্রতিকার:
- মানসিক চিকিৎসা:
- একজন মনোবিজ্ঞানীর সাথে কথা বলা
- জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি (CBT)
- যৌন থেরাপি
- শারীরিক চিকিৎসা:
- ওষুধ:
- SSRI (Selective Serotonin Reuptake Inhibitors)
- SNRI (Serotonin-Norepinephrine Reuptake Inhibitors)
- PDE5 inhibitors
- স্থানীয় অ্যানাস্থেটিক ক্রিম
- কিছু ক্ষেত্রে, অস্ত্রোপচার
- ওষুধ:
- জীবনধারার পরিবর্তন:
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- পর্যাপ্ত ঘুম
- ধূমপান ও অ্যালকোহল পান ত্যাগ করা
- মাদকদ্রব্য সেবন ত্যাগ করা
- স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করা
দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা না করলে:
- যৌন জীবনে অসন্তুষ্টি
- পারস্পরিক সম্পর্কের সমস্যা
- মানসিক অবসাদ
- আত্মবিশ্বাসের অভাব
দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসার জন্য কিছু টিপস:
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- পর্যাপ্ত ঘুমান।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল পান ত্যাগ করুন।
- মাদকদ্রব্য সেবন ত্যাগ করুন।
- স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন।
- যৌনতা চলাকালীন শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর নজর রাখুন।
- 'স্টপ-স্টার্ট' টেকনিক ব্যবহার করুন।
- 'স্কুইজ' টেকনিক ব্যবহার করুন।
- 'কনডম' ব্যবহার করুন।
দ্রুত বীর্যপাতের প্রতিকারের জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও কার্যকর হতে পারে। যেমন,
মালিশ: লিঙ্গের গোড়ায় এবং অন্ডকোষে নিয়মিত মালিশ করলে দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা কমে যেতে পারে।
যোগব্যায়াম: যোগব্যায়ামের কিছু আসন, যেমন শিথিলকর আসন, লিঙ্গের পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
ইলাস্টিক বাঁধন: যৌনমিলনের আগে লিঙ্গের গোড়ায় একটি ইলাস্টিক বাঁধন দিয়ে বাঁধলে বীর্যপাত দেরিতে হয়।
দ্রুত বীর্যপাত একটি চিকিৎসাযোগ্য সমস্যা। এই সমস্যায় ভুগলে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জেনে নেই কিভাবে বীর্যের ঘনত্ব বাড়ে
১. ধূমপান বন্ধ করুন। ধূমপায়ীদের শুক্রাণু সংখ্যা অধূমপায়ীদের চেয়ে ২২% কম হয় ।
২. টাইট আণ্ডারওয়্যার বা প্যান্ট ব্যবহার করবেন না । ঢিলা জিনিস ব্যবহার করুন ।
৩. হস্তমৈথুনের চেয়ে সেক্স বেশি করার চেষ্টা করুন। পারলে হস্তমৈথুন একেবারে বাদ দিন।
৪. এলকোহল খাওয়া বাদ দিন একেবারে । এলকোহল বা মদ খেলে শরীরে Estrogen (নারী হরমোন) লেভেল বেড়ে যায় ।
৫. প্রচুর পানি পান করুন। দিনে ২লিটারের বেশি।
৬. টুনা মাছ, মুরগি, লাল মাংস, কচি ছাগল বা ভেড়ার মাংস খান। এতে প্রচুর এমিনো এসিড থাকে যা testosterone(পুরুষ হরমোন) লেভেল বাড়িয়ে দেয়।
৭. প্রতিদিন বাদাম খান। বাদামে জিঙ্ক এবং এমিনো এসিড প্রচুর পরিমানে থাকে।
৮. গমের আটা এবং বার্লি জিঙ্ক সরবরাহ করে। জিঙ্ক বীর্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
৯. প্রচুর ঢেঁড়স খান। খুব কাজে দেয়।
১০. টমেটো, তরমুজ, পেয়ারা, লাল মরিচ এবং বাতাবি লেবু(জাম্বুরা) প্রচুর পরিমানে খান। এতে লাইকোপিননামের এনজাইম থাকে যা বীর্যের পরিমান এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন