ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন যারা - Slogaan BD

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন যারা

ডায়াবেটিস যা সারা জীবনের জন্যে বয়ে বেড়াতে হয় এবং সারা বিশ্বে এর কারণে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ডায়াবেটিস এক মহামারির নাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সারা বিশ্বে ২০০০ সালে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭ কোটি। ২০৩০ সালে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হবে। এছাড়া যে কোন ব্যক্তিই এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন।আমাদের দেহের অগ্ন্যাশয় বা প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা বিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিনের কাজ হলো গ্লুকোজকে মানুষের দেহের কোষগুলোয় পৌঁছে দেওয়া। এরপর সেই গ্লুকোজ ব্যবহার করে শরীরের কোষগুলো শক্তি উৎপাদন করে।



এই ইনসুলিনের পরিপূর্ণ বা আংশিক ঘাটতিতে অথবা ইনসুলিনের কার্যকারিতা হ্রাসে বা এ দুটি অবস্থার মিলিত প্রভাবে রক্তের স্বাভাবিক গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস হয়।


কায়িক পরিশ্রমের ঘাটতি আর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগের সাধারণ কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেমন– ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, তৃষ্ণা পাওয়া, নিয়মিত খাওয়ার পরও ঘন ঘন খিদে লাগা, প্রচণ্ড পরিশ্রান্ত অনুভব করা, চোখে ঝাপসা দেখা, শরীরের বিভিন্ন অংশের কাটাছেঁড়া সহজে না সারা, কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া, প্রদাহজনিত রোগে বারবার আক্রান্ত হওয়া, হাত-পায়ে ব্যথা বা মাঝেমধ্যে অবশ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। অনেক ক্ষেত্রে এ লক্ষণগুলো সব সময় নাও থাকতে পারে।


প্রতি দু’জন ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে একজন জানেনই না যে তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এটাই ভয়ানক বিপদের কথা। কারণ ডায়াবেটিসের জটিলতাগুলো রোগের প্রাথমিক ধাপ থেকেই শুরু হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই রোগী চোখের জটিলতা, হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি জটিলতা, পায়ে পচন, খোসপাঁচড়া প্রভৃতি জটিলতা নিয়ে ডায়াবেটিস শনাক্ত হয়। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় তাই ডায়াবেটিসের চিকিৎসা ও জটিলতা প্রতিরোধের অন্যতম পূর্বশর্ত।


জেনে নিন, ডায়াবেটিসের কোনো লক্ষণ না থাকলেও কাদের ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত: বয়স ৪৫ বা তার বেশি হলে, স্থূল ব্যক্তি, রক্ত-সম্পর্কীয় নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস থাকলে, শারীরিক পরিশ্রমের ঘাটতি থাকলে, প্রি-ডায়াবেটিস থাকলে, নারীদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বা অধিক ওজনের সন্তান প্রসবের ইতিহাস থাকলে, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম থাকলে, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক হলে, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেশি এবং এইচডিএলের মাত্রা কম থাকলে।


তা ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সময়মতো ডায়াবেটিস নির্ণয় না হলে বেশি ওজনের শিশু জন্মদান, অকাল গর্ভপাত, মৃত সন্তান প্রসব, প্রসব-পরবর্তী শিশুমৃত্যু, শিশুর জন্মগত ত্রুটি বা প্রসব-পরবর্তী মা ও সন্তানের বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। তাই প্রথম চেকআপের সময় অথবা গর্ভধারণের ২৪-২৮ সপ্তাহে প্রত্যেক অন্তঃসত্ত্বা মায়ের ডায়াবেটিস শনাক্তকরণ পরীক্ষা করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Post Top Ad

{SCOpenGraph image=http://site.com/link-to-homepage-image.jpg}