ভালোবাসার এক চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হলো জড়িয়ে ধরা। প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার মাঝে যেমন আনন্দ রয়েছে ঠিক তেমনই স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। প্রিয়জনকে ভালোবাসলে শারীরিক ও মানসিক দু’ভাবেই সুস্থ থাকা সম্ভব বলছেন গবেষকরা।
সাইকোলজিকেল সায়েন্স নামক এক জার্নালে বলা হয়েছে, দুশ্চিন্তা, একাকিত্ব, বিষণ্নতা কাটানোর সর্বোত্তম পন্থা জড়িয়ে ধরা। এছাড়াও ভয় কাটাতে এবং মনোবল বাড়াতে সাহায্য করে প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার অভ্যাস।
সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরার ফলে মস্তিষ্কে অক্সিটোসিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। অক্সিটোসিন একটি হরমোন। যা আমাদের ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে। আর এই হরমোন সঠিকভাবে কাজ করায় শরীরের যেসব উপকারিতা মেলে সে সম্পর্কে জেনে নিন-
১. বেশি হাগ (জড়িয়ে ধরা) সমান ব্লাড প্রেসার কম। অর্থাৎ, একমাত্র জড়িয়ে ধরার ফলেই অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি মানসিক সুস্থতার পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতাও নিশ্চিত করে। এনপিআরের প্রতিবেদন অনুসারে, যখন প্রিয়জন কারো শরীর স্পর্শ করে তখন ত্বকের গভীরে থাকা পেসিনিয়ান কর্পাসেল কোষের উন্নতি ঘটে। যা পরবর্তীতে মস্তিষ্কের ভেগাস নার্ভে সংকেত পাঠায়। এর ফলে ব্লাড প্রেসার কমে।
২. সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে জড়িয়ে ধরলে। যখন আপনি মানসিকভাবে অসহায় বা দুশ্চিন্তা বোধ করেন তখন প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরুন। যদি আপনি অফিসেও থাকেন সব কাজ ছেড়ে বাড়ি ফিরে সঙ্গীকে হাগ করুন। দেখবেন আবারো কর্মস্পৃহা বেড়ে গেছে।
৩. প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে যে কোনো ব্যথা থেকে মুক্তি মেলে। হাগ করার পর যে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয় তাতে ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি ঘটে এবং শারীরিক বিভিন্ন ব্যথা কমে।
৪. শুধু ব্যথা নয় হার্টের সমস্যাও প্রতিরোধ করে হাগ। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার চ্যাপল হিলের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরা ওষুধের মতো কাজ করে। যেখানে প্রতি মিনিটে স্বাভাবিক হার্টবিট থাকে পাঁচ বার জড়িয়ে ধরলে তা বেড়ে দাঁড়ায় দশে। এতে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে যায়।
৫. প্রতিদিন প্রিয়জনকে ১০ সেকেন্ড করে জড়িয়ে ধরার সুফল অনেক। মিনিংস অব লাভ বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এমনটিই উঠে এসেছে। এছাড়াও সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরার ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা, বিভিন্ন সংক্রমণ, বিষণ্নতা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি মেলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন