ই-কমার্স: বিদেশিদের পথ উন্মুক্ত করায় স্থানীয় উদ্যোক্তারা শঙ্কিত - Slogaan BD

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

ই-কমার্স: বিদেশিদের পথ উন্মুক্ত করায় স্থানীয় উদ্যোক্তারা শঙ্কিত

সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা সংশোধন করা হয়। এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘দেশীয় অংশীদার রাখার’ এবং ‘দেশীয় শিল্পের স্বার্থসমূহকে প্রাধান্য দেওয়ার‘ শর্ত বাদ দেওয়া হয় ওই সংশোধনে। এর ফলে দেশি অংশীদার ছাড়াই বিদেশি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের ডিজিটাল কমার্স খাতে একক বিনিয়োগের কোনো বাধা থাকল না।


সরকারের এই সিদ্ধান্ত ডিজিটাল কমার্স খাতের দেশীয় কোম্পানিগুলোর ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন আজকের ডিল ও বিডিজবসের প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) হিসাবে দেশে অনলাইনে ব্যবসার আকার এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। দেশে এখন প্রায় দুই হাজার ই-কমার্স সাইট এবং ৫০ হাজার ফেইসবুক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন দেশের মধ্যে ডেলিভারি হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার পণ্য।

দেশীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে পাঠাও, ওভাই, পিকমি, সহজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা দিচ্ছে। এর বিপরীতে বড় প্রস্তুতি নিয়ে প্রতিযোগিতায় রয়েছে শতভাগ বিদেশি কোম্পানি উবার।
অনলাইনে কেনাকাটার জন্য রয়েছে, আজকের ডিল, বাগডুম, যাদরো, ইভ্যালি, অথবা, সিনদাবাদসহ আরও অনেক কোম্পানি। এর বিপরীতে দারাজ ডটকম ডটবিডি বাজারে রয়েছে বিপুল সক্ষমতা নিয়ে।
বাংলাদেশ-চায়না বিজনেস অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি ও ইকমার্স ওয়েবসাইট যাদরো ডটকমের সিইও যাদব দেবনাথ বলেন, “বিদেশিদের হাতে আইসিটির বাজার তুলে দিতে বাংলাদেশ এখনও প্রস্তুত হয়নি। কোনো শর্ত ছাড়াই বিদেশিদের অনুমোদনটা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ সারা বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো একটা প্রোডাক্ট ডাম্পিং জোনে পরিণত হবে।”
নতুন এই নীতিমালার ফলে দেশিয় ই-কমার্সের পাশাপাশি উৎপাদনকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন যাদব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Post Top Ad

{SCOpenGraph image=http://site.com/link-to-homepage-image.jpg}