শীতে ঘরের গাছের পরিচর্যা - Slogaan BD

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

শীতে ঘরের গাছের পরিচর্যা

প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরবাড়ির বাতাসকে বিশুদ্ধ করতে অনেকেই বাড়িতে উদ্ভিদ যুক্ত করেন। শুধু বাতাসকে বিশুদ্ধ করা নয়, এসব উদ্ভিদ ঘরের সাজসজ্জাতেও পরিপূর্ণতা আনে। পাশাপাশি এ উদ্ভিদগুলো মানুষের স্ট্রেস লেভেল কমায় ও চিন্তামুক্ত থাকতে সাহায্য করে। ২০০৮ সালের এক গবেষণায় ডাচ গবেষকরা এমনটাই দেখতে পেয়েছেন।

আমাদের যান্ত্রিক এ শহরে গাড়ি-কলকারখানার সংখ্যা যেভাবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে বাতাসে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণ, ঘটছে পরিবেশ দূষণ। তবে এ বিষাক্ত রাসায়নিক যে শুধু রাস্তাঘাটেই রয়েছে, তা কিন্তু নয়। এমন অনেক ভয়াবহ রাসায়নিক পদার্থ আমাদের বাড়িতেও আছে, যা সম্পর্কে ধারণাও নেই। প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরবাড়ির বাতাসকে বিশুদ্ধ করতে অনেকেই বাড়িতে উদ্ভিদ যুক্ত করেন। শুধু বাতাসকে বিশুদ্ধ করা নয়, এসব উদ্ভিদ ঘরের সাজসজ্জাতেও পরিপূর্ণতা আনে। পাশাপাশি এ উদ্ভিদগুলো স্ট্রেস লেভেল কমায় ও চিন্তামুক্ত করে। ২০০৮ সালে করা গবেষণায় ডাচ গবেষকরা এমনটাই দেখতে পেয়েছেন।

ঘর ও বারান্দায় লাগানো এ উদ্ভিদগুলোর পেছনে কিছুটা সময় দিতে হয়। রোদ ও পানির জোগান দিয়ে গাছগুলোর হালকা যত্ন নেয়ার প্রয়োজন পড়ে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যত্নের ধরনও পরিবর্তন করতে হয়। শীতের এ সময়ে শীতল ঘর, শুকনো বায়ু, ছোট দিন ও সীমিত আলো গাছের আদর্শ বর্ধনশীল আবহাওয়ার চেয়ে কম থাকায় দরকার পড়ে একটু বেশি যত্নের।

স্বাভাবিক একটা বিষয় হলো শীতের সময় অন্দরমহলের গাছে কম পানির প্রয়োজন। যদিও এটা সত্য যে শীতকালীন বায়ু খুব শুষ্ক এবং এ আবহাওয়ায় গাছের বৃদ্ধি ধীরে হয়। শুষ্ক এ আবহাওয়ায় গাছগুলো হাইড্রেটেড রাখতে কম পানির প্রয়োজন হয়, পানি বেশি দিলে গাছের শেকড় পচে যেতে পারে। পানি দেয়ার পর উপরিপৃষ্ঠের মাটি দ্রুত শুকিয়ে যাবে। তার মানে এই নয় যে উদ্ভিদের আরো পানির প্রয়োজন। গাছের গোড়া খুব বেশি শুকিয়ে যাচ্ছে মনে হলে আপনার আঙুল মাটিতে ১ ইঞ্চি পরিমাণ নিচে দিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন। গাছের শেকড়কে খুব বেশি ধাক্কা না দিয়ে বাইরের তাপমাত্রার মতো পানি দেয়ার চেষ্টা করুন।

শীতকালের কম আর্দ্রতা সম্ভবত উদ্ভিদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। উত্তপ্ত ঘরেও আর্দ্রতার স্তর ১০-২০ শতাংশে নেমে যেতে পারে। যেখানে উদ্ভিদের জন্য আদর্শ স্তর ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। আপনার বাড়িতে যদি হিউমিডিফায়ার থাকে, তাহলে হিউমিডিফায়ারটি আপনার উদ্ভিদগুলোর কাছাকাছি স্থাপন করুন। যদি হিউমিডিফায়ার ডিভাইস না থাকে, তবে অন্য উপায়ে আর্দ্রতা বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করুন। গাছগুলোর প্রকৃতি ও ধরন অনুযায়ী দলে দলে ভাগ করুন। এরপর গাছগুলোর পাতার মধ্যে মাঝে মাঝে পানি ছিটিয়ে দিন, তাহলে গাছগুলোর তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।

আর্দ্রতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাপমাত্রার দিকেও আপনার নজর দেয়া প্রয়োজন। অধিকাংশ উদ্ভিদ মানুষের মতো দিনে ৬৫-৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা উপভোগ করে এবং রাতে সেটা ৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপরে। এজন্য রেডিয়েটর, ওভেন, রেফ্রিজারেটর, ফায়ারপ্লেসের মতো খুব ঠাণ্ডা ও খুব গরম ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে দূরে রাখুন। কারণ তাপমাত্রার এ তারতম্য গাছগুলোর ক্ষতি করতে পারে।

ঘরের উদ্ভিদকে তরতাজা রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সূর্যের আলো যেদিকে পড়ে, উদ্ভিদগুলো সেদিকে রাখা। তাহলেই দেখবেন শীতের সময় গাছগুলো তরতাজা প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Post Top Ad

{SCOpenGraph image=http://site.com/link-to-homepage-image.jpg}