দেশে বর্তমানে প্রচলিত মাস্কগুলোর বেশির ভাগই চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর এবং মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দেশে মোট আমদানি করা ও উৎপাদিত মাস্কের সিংহভাগ হচ্ছে প্রচলিত নন-উভেন থার্মোপ্লাস্টিক শপিং ব্যাগের কাপড় দিয়ে। নন-উভেন থার্মোপ্লাস্টিক কাপড় হচ্ছে বর্তমান বাজারের সবচেয়ে সস্তা প্লাস্টিক। এ–জাতীয় কাপড়কে বলা হয় পিপি-ফেব্রিক্স, অর্থাৎ এটি প্রোপিলিনের পলিমার দিয়ে তৈরি।
থার্মোপ্লাস্টিক এসব মাস্কে প্রতারক মাস্ক ব্যবসায়ীরা কোনো এয়ার ফিল্টার বা বায়ু ছাঁকনি ব্যবহার না করেও শুধু একটি প্লাস্টিক চাকতি দিয়ে জনসাধারণকে প্রতারিত করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে। কিছু অতিচালাক ব্যবসায়ী ফিল্টার চাকতির নিচে বসিয়ে দিয়েছে লাল, নীল নমনীয় প্লাস্টিক, যাতে সাধারণ কেউ তাদের এই প্রতারণা ধরতে না পারে। এ ক্ষেত্রে হয় প্লাস্টিক চাকতিটি শুধু দুপাশ থেকে চাপ দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া (মাঝখানে কোনো ফিল্টার উপাদান নেই), নাহয় মাস্কটির নির্দিষ্ট জায়গাটি কেটে তাতে ফিল্টার কাপড় বা উপাদান না বসিয়ে মাঝখানে একটি নমনীয় প্লাস্টিক বসিয়ে দুই পাশ থেকে আটকে দিয়েছে। সত্যিকারের ফিল্টার না থাকার কারণে শ্বাস নেওয়ার সময় ফুসফুসের নেগেটিভ প্রেশারে তুলনামূলক অতিমাত্রায় মাইক্রো-প্লাস্টিক ব্যবহারকারীদের ফুসফুসে ঢুকে পড়ছে।
পিপি কাপড় ধোয়ার যোগ্য নয়, অজ্ঞতাবশত অনেকে এটি ধুয়ে আবার ব্যবহার করছেন; ধোয়ার ফলে আরও উচ্চমাত্রায় আলগা সুতা, থ্যালেট ও বিপিএ উপাদান মানবশরীরে প্রবেশ করছে। করোনার ঝুঁকি থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে জাতিগতভাবে আমরা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে চলে যাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন