দেশের প্রায় ২৩ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বেড়েছিল ২০১৫ সালে যখন আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে ফলাও করে বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল তখনই ভোজবাজির মতো বাজারের সব পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছিল। সেই শুরু। এর পর দুই ঈদ, বন্যা বন্যা ভাব, খানিকটা খরা, শীতের কুয়াশা, নদীতে তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত, ট্যাঙ্কলরি ধর্মঘট এবং কোনো কারণ ছাড়াই আঞ্চলিক ধর্মঘটের অজুহাতে লাফিয়ে লাফিয়ে পণ্য মূল্য বেড়েছে। আর এখনতো মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে ঘাড়ে চেপে বসেছে সিন্ডিকেট। যে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট সরকারকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একের পর এক নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের বিপদ বাড়িয়ে তুলেছে যা নজিরবিহীন।
সাধারণ মানুষ বহুকাল থেকেই আর দ্রব্যমূল্য নিয়ে উচ্চবাচ্য করে না। তারা হাড়ে হাড়ে এবং শিরায় শিরায় বুঝে ফেলেছে উচ্চবাচ্য করার চেয়ে বুদ্ধি খরচা করে ঘুষের পরিমাণ বাড়িয়ে নেয়া শ্রেয়। তাই বেতন বৃদ্ধির ঝাপটায় লাফিয়ে লাফিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হলেও সাধারণ মানুষ পথে নামেনি। আর নামেনি বলেই সরকার ধরে নিয়েছে বেতন বৃদ্ধি যথাযথই হয়েছে। দেশে এখন সম্পূরক ব্যালান্স বিদ্যমান!
ওই ২২/২৩ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই যে শেষ কথা নয়, দেশের বাকি ১৮ কোটি মানুষের বেতন/আয় না বাড়ায় তারা যে বিপদে পড়েছে সেই অনিবার্য সত্যটিও সরকারি মহলে আলোচিত হয়নি। হলেও তাকে পাত্তা দেয়নি ব্যাপারি মহল।
বাজারে কথা হয় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করা রহমানের সাথে। তিনি বলেন, ‘শুধুই দাম বাড়ে, যেটা একবার বাড়ে সেটা আর কমে না। যেভাবে পণ্যের দাম বাড়ে সেভাবে তো আর বেতন বাড়ে না। সংসার চালানো কঠিন হয়ে গেছে। প্রতি মাসেই ধারদেনা করে সারা মাসের খরচ যোগান দিতে হচ্ছে। এই অনিশ্চয়তার শেষ কোথায় জানিনা’।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন