পেঁয়াজ ও সবজির দাম দুই-তিন সপ্তাহ নাগালের মধ্যে থাকলেও আবার উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মৌসুমের এই সময়ে সবসময় দাম কমতির দিকে থাকলেও এবার নতুন বছরের শুরুতে রাজধানীর বাজারগুলোতে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। অন্যদিকে ভরা মৌসুমে সবজির দামও চড়া।
সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মতো। গত শুক্রবারের তুলনায় এখন প্রায় সব ধরনের সবজিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১৫ টাকা।
সংকটের পর নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমতে শুরু করে। এতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে। কিন্তু এখন আর ১০০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার ভেদে নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের বাড়তি দামের সাথে অস্বস্তি যোগ হয়েছে সবজির দামেও।
এর আগে পেঁয়াজের দাম নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড আমরা লক্ষ্য করেছি। এ নিয়ে সরকারের নানা প্রচেষ্টাও ছিল লক্ষ্যণীয়। কিন্তু এবার ভরা মৌসুমেও পেঁয়াজ আর সবজির এমন বাড়তি দাম শঙ্কা জাগিয়ে তুলছে। এখনই যদি বাজারদরের উর্ধ্বগতি হয়, তাহলে সামনের দিনগুলোতে বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলেই আমাদের শঙ্কা।
একজন ক্রেতা বাজারদর নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে এজন্য সরকারের তদারকি টিমকেই দায়ী করেছেন। আবদুল মান্নান নামের ওই ক্রেতা বলেন: পেঁয়াজের সরবরাহ আর দাম নিয়ে কত কিছু হয়ে গেল। বিমানে আসে। ২ দিন পর দাম কমবে। হাজার হাজার টন আমদানি হচ্ছে, আরো কত কী। কিন্তু বাস্তবে সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। স্বল্প আয়ে পণ্যের অতিরিক্ত দামের বোঝা গরিব মানুষদের জীবনে চাপ সৃষ্টি করছে। এর দায় সরকারের।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আসা এই ক্রেতার অভিযোগের তীর কিন্তু সরকারের দিকেই। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যে সিন্ডিকেটই দাম নিয়ন্ত্রণ করুক না কেন, ওই ক্রেতার মতো সাধারণ মানুষ এজন্য সরকারকেই দায়ী করছে। এজন্য সরকারের নেয়া নানাবিধ ভালো পদক্ষেপ ও অর্জন শেষ পর্যন্ত ম্লান হয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। কঠোরভাবে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হতে হবে।
পেঁয়াজ ও সবজির ভরা মৌসুমে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন