২০১০ সালে 'অটোগ্রাফ' সিনেমা দিয়ে যে সৃজিতের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তা 'জাতিস্মর', 'চতুষ্কোণ', 'রাজকাহিনী'র পথ ধরে অনেক দূরে পৌঁছেছে কিন্তু তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় পুরুষ অনেক আলাদা। কারণ মিথিলার সাথে ডিসেম্বরের ৬ তারিখে বিয়ের পরে এটাই ওনার প্রথম ফিল্ম রিলিজ। তবে সৃজিতের এক বন্ধু বলেন, 'লেডি লাক বলে একটা কথা আছে। মিথিলার আগমন নিশ্চয় সৃজিতকে আরো সাফল্য এনে দেবে আর আমরা সেদিকেই তাকিয়ে আছি।'
কোয়েস্ট এর প্রেক্ষাগৃহের বাইরে তখন অনেক মানুষের ভিড়। ঘুরে বেড়াচ্ছেন মুনমুন সেন এবং মেয়ে রাইমা, পরমব্রত চ্যাটার্জী, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ঋদ্ধিমা ঘোষের মত অনেক সেলিব্রিটি। কিন্তু কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, 'মিথিলা কই?' 'মিথিলাকে দেখেছিস?' কিন্তু এইসব কৌতুহলের থেকে অনেক দূরে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন মিথিলা। কালের কন্ঠ পরিচয় দিয়ে উনার সাথে আলাপ করার ছোট্ট চেষ্টা করা হলেও হেসে এড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশের ঢাকার মেয়ে মিথিলা।
সেলিব্রিটি পরিচালকের নববিবাহিত বউ হলেও মিথিলা এসেছিলেন সাজসজ্জার কোনো আড়ম্বর ছাড়া। একটা লাল পাড়ের অফহোয়াইট শারি আরদ অল্প মেকআপে মিথিলাকে অনেকের মাঝেও আলাদা লাগছিল। সৃজিতের প্রোডাকশন টিমের এক সদস্য বলেন, 'উনি জানেন যে ওনাকে নিয়ে কৌতূহল কিন্তু আজকে দিনটা সৃজিতের। তাই হয়তো প্রচারের আলো থেকে দূরে আছেন মিথিলা।'
মিথিলাকে যে সময় সব ক্যামেরা এবং সাংবাদিকরা খুঁজে বেড়াচ্ছে সেসময় অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে এগিয়ে এলেন সৃজিত। কালের কণ্ঠ পক্ষ থেকে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হল, এই সিনেমা কি বাংলাদেশে দেখা যাবে? মিথিলা জীবনে আসার পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন সামলাতে হয় সৃজিতকে। হাসতে হাসতে বললেন, 'অবশ্যই, এ সিনেমা নিয়ে আমি বাংলাদেশ যেতে চাই। আমি চাই বাংলাদেশের দর্শক 'দ্বিতীয় পুরুষ' দেখুক। আপনাদের কাছে অনুরোধ পাইরেটেড ফিল্ম দেখবেন না। একটু অপেক্ষা করুন।'
কত দিনের অপেক্ষা তা খোলাসা করেননি সৃজিত। কিন্তু এটা বুঝিয়ে দিলেন যে বাংলাদেশে বৈধ পথে সিনেমা নিয়ে যেতে উনি অনেক আগ্রহী। কলকাতার অনেক পরিচালক এই দাবি করেন, কিন্তু পরে তা আর বাস্তব হয়না। তবে সৃজিতের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা কারণ এখন উনি বাংলাদেশের জামাই। আর তার সাথে আছেন 'লেডি লাক' মিথিলা। সৃজিত আরও বলেন, 'আমার তৈরি ছবি 'বাইশে শ্রাবণ' এর এটা একটা স্পিন অফ। এটা একটা থ্রিলার ছবি। আশা করি দর্শকদের এই ছবি ভালো লাগবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন