১৫ জানুয়ারি থেকে উইন্ডোজ ৭ সমর্থন করা বন্ধ করে দিয়েছে মাইক্রোসফট। ‘নতুন প্রযুক্তির’ দিকে মনোনিবেশ করতেই পুরোনো অপারেটিং সিস্টেমটিকে বিদায় জানিয়েছে এ সফটওয়্যার জায়ান্ট।
সমর্থন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, এখন থেকে আর জরুরি ও সর্বশেষ সিকিউরিটি আপডেট পাবেন না উইন্ডোজ ৭ ব্যবহারকারীরা। ফলে অনিরাপদ থাকবে উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেম চালিত মেশিনগুলো। পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট স্ট্যাটকাউন্টার বলছে, প্রতি চার উইন্ডোজ ব্যবহারকারীর একজন উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করেন।
হ্যাকাররা উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমে সফটওয়্যার বাগ নিয়ে আসছে কিনা তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তাও আর করতে হবে না প্রতিষ্ঠানটিকে। এক কথায় বললে, কোনো হ্যাকার বা দুর্বৃত্ত উইন্ডোজ ৭-এর দুর্বলতার সুযোগ নিলে মাইক্রোসফট তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাবে না।
“আনপ্যাচড মেশিন চালানোর মানে হচ্ছে কোডের ত্রুটি কখনও আর ঠিক হবে না। ত্রুটিগুলো সম্পর্কে সবাই জানবে এবং তা ছড়িয়ে পড়তে থাকবে। সফল হামলা হওয়ার আশঙ্কাও প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে।” – বলেছেন ট্রেন্ড মাইক্রোর নিরাপত্তা গবেষক রিক ফার্গুসন।
ক্যাসপারেস্কি ল্যাবের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা গবেষক ডেভিড এম জানিয়েছেন, মানুষের উচিত হবে সমর্থনের আওতায় রয়েছে এমন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু করা।
মানুষকে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে আসতে অনুরোধ জানিয়েছে মাইক্রোসফট। “সামনে এগিয়ে চলুন, নিরাপদে থাকার সবচেয়ে ভালো পথ হচ্ছে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করা। আর উইন্ডোজ ১০ ভালোভাবে উপভোগ করার উপায় হলো নতুন পিসি কেনা।” – বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
পুরোনো পিসিতে যে উইন্ডোজ ১০ চলবে না, তা নয়। পুরোনো পিসিতে অপারেটিং সিস্টেমটি “মসৃণভাবে না-ও চলতে পারে” বলে সতর্কবার্তা জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
উইন্ডোজ ১০ চলার জন্য পিসি’তে অবশ্যই ১ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ১৬ গিগাবাইট হার্ডড্রাইভ স্পেস, এবং এক গিগাবাইট র্যাম মেমোরি থাকতে হবে।
উইন্ডোজ ৭ ব্যবহারকারীরা যদি পিসি অফলাইনে চালান বা ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত না করেন, তাহলেই কেবল অপারেটিং সিস্টেম আপগ্রেড করার প্রয়োজন পড়বে না বলেও উল্লেখ করেছে মাইক্রোসফট।
চাইলে মাইক্রোসফটকে অর্থ দিয়ে আপডেট সচল রাখতে পারবেন উইন্ডোজ ৭ প্রফেশনাল বা উইন্ডোজ ৭ এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারকারীরা। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘উইন্ডোজ ৭ এক্সটেন্ডেড সিকিউরিটি আপডেটস’ পাওয়া যাবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন