বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়্যালস - Slogaan BD

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়্যালস

প্রথমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে পা দিলেও শিরোপা ছোঁয়া হলো না মুশফিকুর রহিমের। তার দল খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শিরোপা জিতে নিল আন্দ্রে রাসেলের নেতৃত্বাধীন রাজশাহী।
ঢাকা গ্লাডিয়েটর (২০১২ ও ২০১৩), কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস (২০১৫ ও ২০১৯), ঢাকা ডায়নামাইটস (২০১৬) ও রংপুর রাইডার্সের (২০১৭) পর নতুন সেই চ্যাম্পিয়ন দলের নাম- রাজশাহী রয়্যালস।
শুক্রবার বিপিএলের সপ্তম আসরের ফাইনালে খুলনাকে ২১ রানে হারায় রাজশাহী।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে এদিন প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেন খুলনা অধিনায়ক মুশফিক। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭০ রানের পুঁজি গড়ে রাজশাহী। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে বিপাকে পড়লেও একপর্যায়ে তা সামলে নেয় খুলনা। তবে রাজশাহী ফের ম্যাচে ফেরে দারুণভাবে। ৮ উইকেটে ১৪৯ রানে থামে খুলনার ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফিরে যান খুলনার ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত (০)। পরের ওভারে ফেরেন আরেক ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ (২)।
শামসুর রহমান শুভ ও রাইলি রুশোর ব্যাটে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে খুলনা। দলীয় ৮৫ রানে রুশো ফিরে গেলে শামসুরের সঙ্গে তার ৭৪ রানের জুটির পতন হয়। এরপর শামসুরের সঙ্গে যোগ দেন মুশফিক। খুলনা তখন ম্যাচে ভালোভাবেই।
কিন্তু ফিফটি তুলে নেওয়া শামসুরকে ফিরিয়ে ম্যাচের টার্নিং মোমেন্ট উপহার দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। ৪৩ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রান করেন শুভ।
এরপর আসলে খুলনার আস্কিং রানরেট শুধু বেড়েছে। অন্য প্রান্তে পড়েছে উইকেট। মুশফিক ১৫ বলে ২১ রানের বেশি করতে পারেনি। রবি ফ্রাইলিঙ্কও ১৫ বলে ১২ রানে থামেন। খুলনার হাত থেকে ম্যাচ ছিটকে যায় ততক্ষণে।
রাজশাহীর পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ইরফান, আন্দ্রে রাসেল ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।
রাজশাহীর ইনিংসে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন। মোহাম্মদ নওয়াজ অপরাজিত ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। আন্দ্রে রাসেল খেলেন অপরাজিত ২৭ রানের ইনিংস।
রাজশাহীর শুরুটা ছিল ধীরগতির। প্রথম পাওয়া প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান তুলে দলটি। তবে ইরফান শুক্কুরের ফিফটির পর মোহাম্মদ নওয়াজ ও আন্দ্রে রাসেলের শেষের ঝড়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ে রাজশাহী। শেষ চার ওভারে নওয়াজ ও রাসেল মিলে তুলেছেন ৬৩ রান।
সবচেয়ে বেশি বিস্ফোরক ছিলেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার নওয়াজ। ২০ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। রাসেলের ১৬ বলের ইনিংসে ছিল ৩ ছক্কা। এর আগে ইরফান শুক্কুর ৩০ বলে ফিফটি পূরণ করেন। মোহাম্মদ আমিরের শিকার হয়ে যখন ফেরেন, তখন তার ৩৫ বলের ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ২ ছক্কা।
এদিন আফিফ হোসেন (১০) ও শোয়েব মালিক (৯) ভালো করতে পারেননি। তবে লিটন দাস ২৮ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ২৫ রান করেন। খুলনার পক্ষে মোহাম্মদ আমির সর্বাধিক ২ উইকেট নেন।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছে আন্দ্রে রাসেল। টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Post Top Ad

{SCOpenGraph image=http://site.com/link-to-homepage-image.jpg}