যে নিয়মগুলো মানলেই সিজার এড়ানো সম্ভব! - Slogaan BD

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

যে নিয়মগুলো মানলেই সিজার এড়ানো সম্ভব!

প্রসূতির কাছে এক আতঙ্কের নাম সিজার।সিজার ছাড়া আজকাল সন্তান জন্মানো এক রকম অসম্ভবই হয়ে পড়েছে আমাদের দেশে। কিন্তু খুব কম সংখ্যক নারীই সিজার করতে আগ্রহী।

পরিবারিকভাবেও সিজারে অনাগ্রহ প্রকাশ করা হয়। তবু দিন দিন সিজারের পরিমাণ বাড়ছে। উন্নত দেশে সিজারকে অনুৎসাহিত করা হলেও আমাদের দেশে কার্যত তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। তারপরও মা ও তার গর্ভস্থ সন্তানের নিরাপত্তাসহ নানা দিক বিবেচনায় রেখে সিজার করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।


সিজার বাড়ার পেছনে ডাক্তারদের বাণিজ্যিক মনোভাবকে দায়ী হলেও, অনেকে প্রসবকালীন বেদনা থেকে বাঁচতে সিজারের সিদ্ধান্ত নেন।

তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, মায়ের গর্ভাবস্থায় সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললে সিজার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। নারী গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই যদি কিছু নিয়ম মেনে চলে তাহলে স্বাভাবিক প্রসব হওয়া সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই নিয়মগুলো-

১. মায়ের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাসবোধ থাকতে হবে যে, তিনি স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করবেন।

২. lugel exercise নামে এক ধরণের ব্যায়াম আছে। যাতে পেলভিক এলাকার মাংসপেশী সংকোচন ও প্রসারণ করার মাধ্যমে কটি দেশের প্রসারণ ক্ষমতা বাড়ানো হয়।

৩. গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে প্রশ্বাস ছাড়লে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে। অন্ত:স্বত্ত্বার ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বড় একটি সমস্যা। তাই এ পদ্ধতি অবলম্বন করে নিস্কৃতি পেতে পারেন।

৪. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত হাঁটলে, সাঁতার কাটলে ও হালকা কিছু ব্যায়াম করলে অন্ত:স্বত্ত্বা শারীরিকভাবে শক্ত-সামর্থ্যবান থাকেন। যা স্বাভাবিক সন্তান প্রসবে সহায়ক হয়।

৫. নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে কোনো রোগ থাকলে যেমন হাইপার টেনশন ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে মা নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করতে পারেন।

৬. ডাক্তারের দেয়া খাদ্য তালিকা অনুসরন করলে সন্তান খুব বড়ও হয় না আবার ছোটও হয় না। ফলে স্বাভাবিক প্রসবের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সিজারে সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মায়ের জীবন যেমন ঝুঁকির মুখে পড়ে তেমনি পরবর্তীতে মাকে নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতার শিকার হতে হয়। তাই সিজারকে না বলাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Post Top Ad

{SCOpenGraph image=http://site.com/link-to-homepage-image.jpg}