১৫তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব গতকাল শুরু হয়েছে। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশসহ ৪৫টি দেশের ২৫০টির বেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম।
শনিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা কুমার সাহানি ও কমল স্বরূপ। আরো উপস্থিত ছিলেন উৎসবের পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরী, চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু এবং বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি জাহিদুর রহিম অঞ্জন। উদ্বোধনী শেষে স্বাধীন চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সংগঠক মোরশেদুল ইসলামকে‘হীরালাল সেন আজীবন সম্মাননা স্মারক’ প্রদান করা হয়। এদিন চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও প্রদর্শন করা হয়। এ চলচ্চিত্র উৎসব চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবের সমন্বয়ক ইমরান হোসেন জানান, এ চলচ্চিত্র উৎসবটি দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম চলচ্চিত্র উৎসব হিসেবে স্বীকৃত হয়ে আসছে। এবারের ১৫তম উৎসবটি নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সম্পাদক প্রয়াত সাইদুল ইসলাম আনাম টুটুল, বাংলাদেশের শৈল্পিক চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের পুরোধা মুহাম্মদ খসরুর স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে।
এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশসহ ৪৫টি দেশের ২৫০টির বেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি প্রদর্শিত হবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ২৫০টি চলচ্চিত্রের মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে ৪০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এগুলোর মধ্যে আছে লস্ট ইন দ্য হোল, বৃক্ষমাতা, আ নাইটস টেল ইত্যাদি। আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্যে ছবির মধ্যে রয়েছে রোজাইয়া, ইজলা সাইরেনা, বিটুইন গড এন্ড আইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চলচ্চিত্র।’
সাত দিনব্যাপী এ উৎসবে থাকবে নানা আয়োজন। চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি স্মারক বক্তৃতা, জাতীয় সেমিনার, চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালা ও বিশেষ প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগের নির্বাচিত কাহিনী ও প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শনীর পাশাপাশি থাকবে সাধারণ বিশ্ব চলচ্চিত্র বিভাগ, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতিযোগিতার বিভাগে (অনূর্ধ্ব-১৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবি) তারেক শাহরিয়ার ইনডিপেনডেন্ট শটস, নেটপ্যাক জুরি অ্যাওয়ার্ড কান্ট্রি ও রিজিওন ফোকাস, বিশ্বের উল্লেখযোগ্য দুটি ফিল্ম স্কুলের নির্বাচিত চলচ্চিত্র, রেট্রোস্পেক্টিভ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সাম্প্রতিক নির্মিত এশিয়ান মুক্ত দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী ছাড়াও উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকবে কবির স্মারক বক্তৃতা, তিনটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও একটি মাস্টার ক্লাস।
সাতদিনের এ চলচ্চিত্র উৎসবটি কেন্দ্রীয় গণগন্থাগার শওকত ওসমান মিলনায়তনসহ জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন, জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন এবং একাডেমির সেমিনার কক্ষে চলবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন