দল পাননি বলে বিপিএলে খেলা হচ্ছে না। তবে জাতীয় লিগে ভালো খেলেছিলেন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে মাঠে গড়াবে প্রিমিয়ার লিগ, এর পর বিসিএল। অনুমিতভাবে সেগুলোতে দল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুলের।
ফলে মাঠে ফেরার তাড়াটা এখনও আছে তার। দুই টুর্নামেন্টে ভালো করতে মরিয়া তিনি। সেই লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করছেন অ্যাশ। সেই তাড়া থেকেই নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।
বাংলাদেশের ব্যাটিং কিংবদন্তি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এখন ঢাকায়। বিষয়টি কানে গেছে আশরাফুলের। কালবিলম্ব না করে অগ্রজের শরণাপন্ন হয়েছেন অনুজ। মুখ্য উদ্দেশ্য ব্যাটিং সমস্যা শুধরানো।
দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বুলবুল। এক সপ্তাহ হলো ঢাকায় এসেছেন তিনি। তবে ক্রিকেটটা এখন আর আগের মতো তাকে টানে না। বিদেশে কোচ হিসেবে বেশ কদর পাচ্ছেন। তবে দেশের ক্রিকেটে তার মূল্যায়ন হচ্ছে না। অনেকটা অভিমান থেকেই এক সপ্তাহ হলো শেরেবাংলায় একবারও ঢুঁ মারেননি তিনি। কিন্তু ফুটবল ম্যাচ দেখতে ঠিকই গিয়েছিলেন।
যদিও দেশের ক্রিকেটের প্রতি, ক্রিকেটারদের প্রতি মমত্ববোধটা আগের মতোই আছে বুলবুলের। স্বভাবতই অনুজপ্রতিম আশরাফুলের অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাকে ঠিকই তালিম দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের মহানায়ক।
বুলবুল বলেন, এ সময়ে একদিন মিরপুর সিটি ক্লাব মাঠে গিয়েছিলাম। সেটি ছোট ভাই আশরাফুলের জন্য। সে একদিন আমাকে ফোন করে বলল, বুলবুল ভাই, ব্যাটিংয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে। একটু দেখিয়ে দেবেন। আমি বললাম, ঠিক আছে।
ছোট ভাইয়ের অনুরোধ শুনে পর দিনই মিরপুর সিটি ক্লাব মাঠে ছুটে যান বুলবুল। সেখানে আশরাফুলের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। হাতেকলমে কিছু করণীয় কাজ দেখিয়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে দেশের ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটিং প্রতিভা আশরাফুল বলেন, একা একা ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছিলাম। হঠাৎ করে মনে হলো বুলবুল ভাই দেশে এসেছেন। তার কাছে যাই, কিছু টিপস নিই। সেটি নিয়েছিও, তা নিয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছি।
বাংলাদেশের হয়ে অসাধারণ কিছু অর্জন আছে বুলবুলের ক্যারিয়ারে। ১৯৯৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিজয়ী টাইগার দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বে পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পান লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ফলে টেস্ট স্ট্যাটাস পান তারা।
অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে করেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি- এখনও সেসব চোখে ভেসে আছে সবার। কিন্তু সেই তিনিই এখন নিজ দেশে পরবাসী। দেশের ক্রিকেটে কিছু করতে না পেরে থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে বয়সভিত্তিক ও অঞ্চলভিত্তিক দল নিয়ে কাজ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন