পেঁয়াজ সিন্ডিকেটদের দমন করতে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন করে পেঁয়াজের দাম আবার অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে ২দিন ধরে। আমদানী হওয়া পেঁয়াজ কি পরিমাণ বিক্রি হচ্ছে কারা আমদানী করছে, বাজারে সরবরাহ ঠিক মত যাচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
খুচরাবাজারে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ২’শ থেকে ২৪০ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
খুচরাবাজারে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ২’শ থেকে ২৪০ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দেশে প্রতি বছর পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ থেকে ২৬ লক্ষ টন । আর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে মোট পেঁয়াজ উত্পাদন হয়েছে ২৩ দশমিক ৩০লক্ষ টন। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ সংগ্রহকালীন ও সংরক্ষণকালীন ক্ষতি বাদ দিলে এর পরিমান দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৩০ লক্ষ টন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ১০ দশমিক ৯১ লক্ষ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এই হিসেবে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আর সেপ্টম্বর থেকে নভেম্বর এই তিন মাস যেহেতু দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকে তাই এ সময় ১ লক্ষ টনের বেশী পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতি মাসে যেখানে ২ লক্ষ টনেরও বেশী পেঁয়াজের চাহিদা, সেখানে গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে দুই মাসে মোট পেঁয়াজের আমদানি হয়েছে মাত্র ৪৯ হাজার টন। আর ঢাকা কাস্টমস ও উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি নভেম্বরের এখন পর্যন্ত বিমানে করে মাত্র ২৬০ টন পেঁয়াজ এসেছে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে এসেছে ৭৮০ টন পেঁয়াজ। তাহলে এই পরিমান পেঁয়াজ দিয়ে কিভাবে বাজারের চাহিদা মেটানো সম্ভব। সেখানে প্রতি মাসে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২ লক্ষ টনের বেশী।
বর্তমানে দেশে পেঁয়াজ সংকটের একটাই কারণ, চাহিদামতো পেঁয়াজের সরবরাহ নেই। সরবরাহ বাড়লে দাম ঠিকই কমে আসবে। প্রতি বছর ডিসেম্বরের শুরুতে দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে। এবার বন্যা ও বৃষ্টির কারণে শুরুর দিকের পেঁয়াজের আবাদ নষ্ট হওয়ায় কয়েকদিন দেরী হতে পারে। তবে ইতোমধ্যেই মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠেছে। আশা করছি, ডিসেম্বরে দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু হলেই দাম কমে আসবে।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন