সেলফি মানে তরুণ প্রজন্মের নিজেকে পরিচিত করে তোলার উপায় মনে করা হলেও এখন তা পরিণত হয়েছে ব্যবসায়। হোটেল বা রেস্টুরেন্টগুলো ব্যবসা বাড়াতে ‘সেলফি পর্যটক' ধরায় মনোযোগী হচ্ছেন।
২০০৩ সালে সনিসহ অন্যান্য কোম্পানি যখন মোবাইলে ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা যুক্ত করা শুরু করে, তখন তার উদ্দেশ্য ছিল ভিডিও কলের মাধ্যমে ব্যবসায়িক মিটিং করার সুবিধা দেয়া। কিন্তু এ ক্যামেরার সংযুক্তি যে একসময় সেলফি তোলার মাধ্যম হয়ে উঠবে, তা ধারণা করেনি কেউ।
সময়ের বিবর্তনে সেলফি এখন এতই জনপ্রিয় যে, বিভিন্ন হোটেলে এখন থাকে সেলফি স্পট। চেক-ইনের সময় অতিথিদের সেলফি স্টিক দেয়ার অফারও করছেন অনেকে।
২০১৪ সালে মান্দারিন ওরিয়েন্টাল নামক হোটেল ‘সেলফি ইন প্যারিস' নামে ফ্রান্সের রাজধানী ভ্রমণের একটি প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থা করেছিলো।
এছাড়া গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের হোটেল গ্র্যান্ড ব্রেটানিয়ে অ্যাক্রোপলিসের সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ করে দিতে হোটেলের ভেতর আয়োজন করেছিলো আলাদা স্পটের। আর ম্যারিয়ট হোটেল চেন ক্যালিফোর্নিয়ায় তাদের ডেজার্ট স্প্রিংস রিসোর্টে চেক-ইনের সময় ‘সেলফি স্টিক' দেয়ার অফার দিয়ে থাকে সবসময়।
বাংলাদেশেও এখন প্রায় রেস্টুরেন্টগুলোতে থাকে সেলফি কর্নার। সেখানে মানুষ যত না খাচ্ছে, তারচেয়েও বেশি তুলছেন সেলফি। পরে তা ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। হচ্ছে ব্যবসার প্রসার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এক্সপেরিয়েন্স-ইকোনমি'র প্রসার বাড়ায় সেলফিও বড় ব্যবসা হয়ে উঠছে। বর্তমানে মানুষ টাকা খরচ করে হলেও নতুন কিছুর অভিজ্ঞতা (এক্সপেরিয়েন্স) পেতে চান।
মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের বিশ্লেষক রবার্টা কোজ্জা বলেন, উন্নত স্মার্টফোনের মাধ্যমে সেলফি তুলে সামাজিক মাধ্যমে তা প্রকাশের সুবিধা থাকায় দিন দিন সেলফি পরিণত হয়েছে বড় অর্থনীতিতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন