নিত্য পণ্যের বাজার কেন লাগামহীন - Slogaan BD

Post Top Ad

Post Top Ad

নিত্য পণ্যের বাজার কেন লাগামহীন

সবজি থেকে মাছবাজার। সবখানেই যেন এখন আগুন। রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের। বাজারে তরি তরকারির পাশাপাশি বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুনের দামও। সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাছের বাজার। দেশি পুঁটিই বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়।
market20160101151011

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, কারওয়ানবাজার, হাতিরপুলও কাঁঠালবাগান ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বাজারে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ৩০-৬০ টাকা বেড়েছে। প্রতিকেজি রুই ২৮০ থেকে ৪২০ টাকা, পাবদা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গলদা বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৯০০টাকায় আর বাগদা ৫০০-৬০০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, মাছের চাহিদা আগের চেয়ে এখন বেশি। এজন্য দাম একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে। আর আমাদেরকেও আগের চেয়ে একটু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। 
কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি গাজর ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, মুলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও শালগম ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া বাজারে প্রতিটি বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকায়, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 
বাজারে এখন সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন আসা বরবটি। বাজার মানভেদে বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। দামের দিক থেকে এর পরেই রয়েছে পটল ও করলা। বাজারভেদে পটল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে করলা। এছাড়া গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঢেঁড়সের দাম বেড়ে হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। এছাড়া আলু ১৫ থেকে ১৮ টাকা। কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৬ থেকে ৩০ টাকায়। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকায়। অপরদিকে আমদানিকৃত রসুন প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। আর দেশি রসুন ৫০ থেকে ৭০ টাকায়।
এদিকে, দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বমুখী বেকায়দায় ফেলেছে সীমিত আয়ের নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের। এতে জীবন-যাপনের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলো।
ক্রেতাদের অভিযোগ, যৌক্তিক কোনও কারণ ছাড়াই দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অজুহাত সরবরাহ কমায় মোকামে দাম বেড়েছে। ফলে আমাদেরও বেশি দাম দিয়ে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
গত সপ্তাহের মতো অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। বাজার ভেদে আবার ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বাজার ভেদে বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে লাল লেয়ার মুরগি। মুরগির ডিম প্রতি ডজনে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Post Top Ad

{SCOpenGraph image=http://site.com/link-to-homepage-image.jpg}