দীর্ঘ দিন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অবশ্যই কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি।
কথা - কাউকে দেখে ভালো লাগলেও সেই আকর্ষণ সাময়িক। মানুষটির সাথে যদি আপনি কথাবার্তা বলার বিষয় না খুঁজে পান তাহলে সেই সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না। শারীরিক আকর্ষণ ক্ষণস্থায়ী। মনের মিল হওয়ার জন্য একে অপরকে ভালো করে চেনার জন্য এবং ভবিষ্যতে এক সঙ্গে বসবাস করার ইচ্ছে থাকলে স্বামী/স্ত্রীর একে অপরের সাথে কথোপকথন এ স্বচ্ছন্দ হওয়া উচিত।
শ্রদ্ধা : সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার প্রথম শর্ত হলো শ্রদ্ধা। যে কোনও মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার দরকার। আপনার যার সঙ্গেই দেখা হোক না কেন, যার সঙ্গেই আলাপ হোক না কেন মানুষ হিসেবে তাকে সম্মান করুন। তার মানসিকতায় আঘাত না করা, তার ব্যক্তিগত সম্পর্কে জোর করে ঢুকে না পরা, তার শখ, ইচ্ছে কিংবা মনোভাবকে নিয়ে কখনই উপহাস করা ঠিক নয়।
বিশ্বাস : এটি সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জীবন আমাদের নানা ভাবে পরীক্ষা নিতে চাইবে, অনেক রকম ভাবে প্রলুব্ধ করতে চাইবে, কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনার ওপর একজন নিজের বিশ্বাস সমর্পন করেছেন এবং তার যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার দায়িত্ব শুধুমাত্র আপনারই।
একসঙ্গে সময় কাটান : দুজনের একসঙ্গে সময় কাটানো খুব জরুরি। নইলে খুব ভালো সম্পর্ক, অনেকদিনের সম্পর্ক হলেও তা টেকে না। কাজের ব্যস্ততা তো থাকবেই। কিন্তু তার মধ্যেও সময় বার করে একে অন্যকে সময় দিতে হবে।আমরা দুজনেই চাকরি করি এবং দুজনেরই বাড়ি ফিরতে যথেষ্ট দেরি হয়। তার ওপর একে অপরের বাবা মাকেও সময় দেওয়ার দায়িত্ব থাকে। এই সব কিছুর পর একটা সময় থাকে যা কেবল আমাদের একান্ত ব্যক্তিগত।এই সময়ে আমরা গেম অফ থ্রোনস দেখা থেকে শুরু করে প্লেস্টেশন এ গেম খেলা, একে অপরের পুরো দিন কেমন কাটলো,অফিসের চাপ, ভবিষ্যতের বেড়ানোর প্ল্যান সবই করি।
একে অন্যের পাশে থাকুন : যে কোনও সমস্যায় একে অন্যের পাশে থাকুন। ভুল বোঝাবুঝি, পাল্টা দোষারোপ এসব চলতেই পারে। কিন্তু তাই বলে কেউ কখনও একে অন্যকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাববেন না। এতে নিজেদেরই ক্ষতি হবে। কেউ আর্থিক সমস্যায় পড়লে অন্যজন তাকে সাধ্যমত সাহায্য করুন। টাকা নেই বলে তাকে দূরে ঠেলে দেবেন না।
সততা : আজকাল সবাই নিজেকে বড় করে দেখাতে চান। ভালো সাজতে গিয়ে অনেক মিথ্যে কথা বলেন। সম্পর্কে এই মিথ্যা কথা একেবারেই ঠিক নয়। তাহলে যেকোন মুহূর্তে সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। নিজের যেটুকু রয়েছে তাই নিয়েই খুশি থাকুন। অযথা মিথ্যা বলে নিজেকে বড় করার চেষ্টা করবেন না।
সম্মান - পরস্পরের প্রতি এবং একে অপরের পরিবারের প্রতি। বিয়ে এমনই এক সামাজিক প্রতিষ্ঠান যেখানে আপনি শুধুমাত্র আপনার জীবনসঙ্গীকেই আপন করছেন না বরং তার পরিবার এর সাথেও আপনার সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। শুধুমাত্র মেয়েদেরই শ্বশুর শাশুড়ি কে দেখতে হবে ছেলেদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয় এমনটা হওয়া উচিত নয়। এত বছর আমরা একে অপরের সাথে আছি এছাড়া আমাদের বাবারা ছোটবেলার বন্ধু হবার ফলে অনেক আগেই সম্মান এর জায়গাটা তৈরি হয়ে ছিল।
মনোমালিন্য , অভিমান ইত্যাদি তো জীবনের পরীক্ষা মাত্র। এর মেঘ কেটে যাবে । নিজের ওপর এবং সম্পর্কের ওপর আস্থা থাকলেই সেটি দীর্ঘস্থায়ী হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন