বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ইতিমধ্যে মুসলিমদের পবিত্র এবং মর্যাদাপূর্ণ স্থান মক্কার কাবা শরীফে জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে সৌদি আবর। প্রতিদিন অসংখ্য মুসল্লি যে ঘরটিকে তাওয়াফ করতেন, সেখানে এখন জনমানবহীন। কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছাড়া পুরো ফাঁকা মক্কার মসজিদুল হারাম।
কাবাঘরে যখন তাওয়াফ বন্ধ হয় তখনি আবাবিলের বংশধর এসে কাবাঘরের চার দিকে তাওয়াফ শুরু করে। ১৩ই মার্চ বিশ্বের অনেক টিভি-মিডিয়ায়’তে এ নিউজকে প্রাধন্য দিয়ে এই দৃশ্য প্রকাশ করতে দেখা যায় । এমন অবস্থায় কাবা ঘরের উপর দিয়ে এক ঝাঁক পাখির চক্রাকারে ওড়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, রাতের আকাশে উড়ন্ত পাখিগুলোর শরীরে আলো পড়ে ঝকঝক করছে।
ইসলামের বিধান অনুযায়ী, কাবা ঘরকে কেন্দ্র করে হাজীদের সাতবার তাওয়াফ করা বাধ্যতামূলক। করোনাভাইরাসের কারণে যেহেতু এখন কাবা ঘরে তাওয়াফ অনেক কমে গেছে। তাই পাখিগুলো সেই কাজটি করছে বলেও অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মত দিচ্ছেন। তাদের মতে, এই ঘটনাটি অলৌকিক।
তাওয়াফ বন্ধ করে দেয়ার পরও পাখিরা কাবা প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছে যে পবিত্র কা’বার সম্মান আসলে কত উঁচু !
কাবা ঘরের উপর দিয়ে কখনো পাখি উড়ে যায়নি, যখন আবরাহা বাদশা কাবা ঘর ধ্বংস করতে এসেছিল তখন ১ বার আবাবিল পাখিরা এসেছিল, আর এখন আরেকবার।
কাবা শরীফ এমন একটা জায়গা যার উপর দিয়ে আজ পর্যন্ত কোনো পাখি উড়ে যায়নি। দুনিয়ার কোনো বিমানও তার উপর দিয়ে যেতে পারেনি।
কুদরতী দৃষ্টিকোণ থেকেও তার অবস্থান এমনই যে তার উপর চন্দ্র ও সূর্যও অবস্থান করতে পারে না। কোরআন এবং বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, গোটা পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু ওই স্থান যেখানে খানায়ে কাবা শরীফ। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি।
কুদরতী দৃষ্টিকোণ থেকেও তার অবস্থান এমনই যে তার উপর চন্দ্র ও সূর্যও অবস্থান করতে পারে না। কোরআন এবং বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, গোটা পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু ওই স্থান যেখানে খানায়ে কাবা শরীফ। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি।
মুসলমানদের কেবলা কাবা শরীফ। প্রতিবছর লাখ লাখ মুসলমান কাবা ঘর তাওয়াফ করতে মক্কা গমন করেন। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে ফেরেশতারা কাবা ঘর নির্মাণ করেন। কাবা ঘরকে উল্লেখ করে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা আলে ইমরান এর ৯৬ নম্বর আয়াতে বলেছেন,
إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِّلْعَالَمِينَ
‘নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময়।’ (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ৯৬)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন